
####
খুলনায় ভোলা-বরিশাল-খুলনার পাইপ লাইনে গ্যাসের রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদে এবং দ্রুত পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তৃতা করেন বিএনপির মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, এখন টিভির খুলনা প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম, মহানগর জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, খুলনা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাকিবুল আলম সাচ্চু, খুলনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খান মনিরুজ্জামান, জামায়াতের মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, বৃহত্তর খুলনায় উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহসভাপতি অধ্যক্ষ রেহেনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ ।
এ সময়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনার কোন কিছুই আন্দোলন ব্যতীত গড়ে ওঠে নাই, আন্দোলন না করে সাধারণভাবে কখনো কিছু আমরা পাইনি, আমি মনে করি আরো একটি বড় আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। কারণ কলকারখানায় সব বন্ধ হয়ে গেছে, খুলনা নগরী এখন মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি সোচ্চার না হই আমরা যদি আন্দোলন না করি, তাহলে কখনো আমরা পাইপ লাইনে গ্যাস পাবো ন। দলমত নির্বিশেষে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে খুলনার দাবি নিয়ে যে আন্দোলন করছে পাইপ লাইনে গ্যাস আনার বিষয়ে, সে ব্যাপারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের দুইটি বন্দর আছে একটা চট্টগ্রাম আর একটা মোংলা। কিন্তু এই মোংলা বন্দরে ইনভেস্টমেন্ট আসে না কারণ এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না। বন্দরকে সচল করতে হলে প্রয়োজন একটি বিমানবন্দর।
তারা আরও বলেন, খুলনার এই দাবি আদায় করতে হলে খুলনার দুইটি প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি দিতে হবে, তাহলে তাদের এই দাবি পূরণ সম্ভব হবে। যতদিন তাদের এই দাবি মানা হবে না ততদিন তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বৃহত্তর খুলনা সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফু উজ জামান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই দাবি মানা না হলে আগামী মাসে গণঅনশণ কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দেয়া হয়। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ##