০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ ১৩ ডিসেম্বর রামপাল হানাদার মুক্ত দিবস

###    ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটের রামপাল হানাদার মুক্ত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ৫৫ থেকে ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা রামপাল মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন মকান্ডার শেখ আঃ জলিলের নেতৃত্বে হানাদার মুক্ত করা হয়। রামপাল মুক্ত দিবসটি ছিল স্বজন, সহযোদ্ধাদের হারানো দীর্ঘশ্বাস ও বিজয় উল্লাসের দিন। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ প্রয়ত শেখ আ. জলিলের নেতৃত্বে বাগেরহাটের মোংলাতে আরও অপারেশনের একটি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই সময় ৫৫/৬০ জনের একটি দল মোংলা আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা একটি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ওই সময় গুরুতর আহত হন চিতলমারীর নিজামসহ ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। ওই তারিখ মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন করলে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। ১২ তারিখ রাতে রামপাল থানাকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা করতে মুক্তিযোদ্ধারা থানার অপর পার পেড়িখালী বাজারে অবস্থান নেন। ১৩ তারিখ সকালে রামপাল থানায় হাজির হলে ততকালীন ওসি আমিনুর রহমান তাদের অভ্যার্থনা জানান। ১৩ তারিখ মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭ টায় রামপাল থানায় লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেন। এসময় শেখ আ. জলিল, সম্মুখ সমর যোদ্ধা বড়দিয়ার টি. আহম্মদ, বাহালুলসহ সকলে উপস্থিত ছিলেন। বিজয় পতাকা উড়ানোর পর হানাদার বাহিনীর ৪৫ জন দালাল ও তার দোসরদের থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়। তাদের থানায় কয়েকদিন আটকে রেখে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষতি প্রদানের শপথ পড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি চেতনা। একটি কনসেপ্ট। এটা এখনও চলমান। আমরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। সেটি শিক্ষা, মৌলিক অধিকার পুরণ ও বাংঙ্গালীর সংস্কৃতির সুরক্ষা বলেও জানান তিনি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

মোল্লাহাটে কম্বল বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

আজ ১৩ ডিসেম্বর রামপাল হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

###    ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটের রামপাল হানাদার মুক্ত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ৫৫ থেকে ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা রামপাল মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন মকান্ডার শেখ আঃ জলিলের নেতৃত্বে হানাদার মুক্ত করা হয়। রামপাল মুক্ত দিবসটি ছিল স্বজন, সহযোদ্ধাদের হারানো দীর্ঘশ্বাস ও বিজয় উল্লাসের দিন। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ প্রয়ত শেখ আ. জলিলের নেতৃত্বে বাগেরহাটের মোংলাতে আরও অপারেশনের একটি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই সময় ৫৫/৬০ জনের একটি দল মোংলা আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা একটি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ওই সময় গুরুতর আহত হন চিতলমারীর নিজামসহ ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। ওই তারিখ মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন করলে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। ১২ তারিখ রাতে রামপাল থানাকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা করতে মুক্তিযোদ্ধারা থানার অপর পার পেড়িখালী বাজারে অবস্থান নেন। ১৩ তারিখ সকালে রামপাল থানায় হাজির হলে ততকালীন ওসি আমিনুর রহমান তাদের অভ্যার্থনা জানান। ১৩ তারিখ মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭ টায় রামপাল থানায় লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেন। এসময় শেখ আ. জলিল, সম্মুখ সমর যোদ্ধা বড়দিয়ার টি. আহম্মদ, বাহালুলসহ সকলে উপস্থিত ছিলেন। বিজয় পতাকা উড়ানোর পর হানাদার বাহিনীর ৪৫ জন দালাল ও তার দোসরদের থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়। তাদের থানায় কয়েকদিন আটকে রেখে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষতি প্রদানের শপথ পড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি চেতনা। একটি কনসেপ্ট। এটা এখনও চলমান। আমরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। সেটি শিক্ষা, মৌলিক অধিকার পুরণ ও বাংঙ্গালীর সংস্কৃতির সুরক্ষা বলেও জানান তিনি। ##