![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
### কয়রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে কপোতাক্ষ নদে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকাল ৪টায় কয়রা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলার ৭(সাত) ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দের সার্বিক সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রতিযোগীতার শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু। এ সময় তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা বা বিভাগে সুনাম অর্জন করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কয়রার সুন্দরবন টাইগার নৌকা। আর নৌকা বাইচ খেলা দেখতে আসা লোকজনের উপস্থিতি এবং তাদের আনন্দ উপভোগ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসহ সব আনন্দ আয়োজনেরই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। আর হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করন গ্রামীন জনপদের নৌকা বাইচ খেলা। কালের বিবর্তন ও আধুনিকায়নে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম এই খেলাটির। তাই আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই আজকের এই প্রতিযোগীতার আয়োজন।
প্রতিযোগীতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপভোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএম এস দোহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা এ্যড: কেরামত আলী, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম কোম্পানি, চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল্ মাহমুদ, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ: সামাদ গাজী, চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল, চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী ও ইউপি সদস্যবৃন্দ। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাটি কপোতাক্ষ নদের খুঁটিকাটা খেয়াঘাট থেকে শুরু হয়ে গোবরার ঢালীবাড়ীর ঘাটে এসে শেষ হয়। উক্ত প্রতিযোগীতায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কয়রার ৪টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাটি সফল করার জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন কোস্ট গার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি বাহিনী। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকারী কয়রার মহেশ্বরীপুরের সুন্দরবন স্পোটিং ক্লাবের নৌকাকে ১ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার জয় মা কালীকে ৬০ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী কয়রার সোনার বাংলাকে ৩০ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। ##