১১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে দগ্ধ ছয়জনের কেউ নেই

  • মধুমতি ডেস্ক :
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৩৪ পড়েছেন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের কেউ বাঁচল না। সর্বশেষ ১২ বছরের কিশোর ইয়াসিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন একে একে সবাই মারা গেলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন জানিয়েছেন, মৃতের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে মারা যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন একে একে সবাই মারা গেলেন।

ইয়াসিনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

কেরানীগঞ্জে এক পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেলেন
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

গত ৩০ আগস্ট ভোরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল জেলেপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধ রোগীদের মধ্যে মোছা. বেগম, তাঁর মেয়ে সোনিয়া বেগম, সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম, মোছা. বেগমের নাতি শাহজাদা (বেগমের মেয়ে সালমার সন্তান) ও বেগমের ননদ পান্না বেগম মারা গেছেন। আজ মারা গেল ইয়াসিন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ রোগীদের স্বজন আসমানী বেগম জানান, ঘটনার দিন ভোরে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ইয়াসিন বাথরুমে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। তার শরীরে হঠাৎ রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লেগে যায়। পরে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে এতে দগ্ধ হয়েছিলেন শাহাজাদা। পরে বাড়িওয়ালা এসে নতুন চুলা ঠিক করে দেন। তাঁদের ধারণা, গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে যেকোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এ্যাম্বুলেন্স অকেজো, চরম দূর্ভোগে রোগীরা

কেরানীগঞ্জে দগ্ধ ছয়জনের কেউ নেই

প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকার কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের কেউ বাঁচল না। সর্বশেষ ১২ বছরের কিশোর ইয়াসিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন একে একে সবাই মারা গেলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন জানিয়েছেন, মৃতের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে মারা যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন একে একে সবাই মারা গেলেন।

ইয়াসিনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

কেরানীগঞ্জে এক পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেলেন
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

গত ৩০ আগস্ট ভোরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল জেলেপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধ রোগীদের মধ্যে মোছা. বেগম, তাঁর মেয়ে সোনিয়া বেগম, সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম, মোছা. বেগমের নাতি শাহজাদা (বেগমের মেয়ে সালমার সন্তান) ও বেগমের ননদ পান্না বেগম মারা গেছেন। আজ মারা গেল ইয়াসিন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ রোগীদের স্বজন আসমানী বেগম জানান, ঘটনার দিন ভোরে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ইয়াসিন বাথরুমে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। তার শরীরে হঠাৎ রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লেগে যায়। পরে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে এতে দগ্ধ হয়েছিলেন শাহাজাদা। পরে বাড়িওয়ালা এসে নতুন চুলা ঠিক করে দেন। তাঁদের ধারণা, গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে যেকোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে।