০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরে বৃষ্টির আশায় কৃষকদের নামাজ আদায়

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০২:৪৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ২৮ পড়েছেন

দীর্ঘ খরায় ফসল ফলাতে না পারায় বৃষ্টির আশায় নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন কেশবপুরে কৃষকরা। গতকাল শনিবার উপজেলার ঝিকরা বিলে ৬ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ নামাজ আদায় করেন।

বৃষ্টির পানির অভাবে কেশবপুরের চাষিদের আমন চাষের জমি শুকিয়ে ফেটে যাওয়ায় কাঙ্খিত ফলন নিয়ে তারা শঙ্কিত। বৃষ্টি কম হওয়ায় পুকুর, খাল বিল পানি শুন্য থাকায় কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাঁটা পাট নিয়ে ছুটছেন কৃষকরা। মৌসুম শেষ হলেও বৃষ্টি নেই। তাই বৃষ্টির আশায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছেন তারা।

উপজেলার বুড়িহাটি, বারুইহাটি, ফতেপুর, ঝিকরা, পাত্রপাড়া ও শ্রীপুর গ্রামের মুসল্লিরা অংশ নেন। এ নামাজে ইমামতি করেন উপজেলার বুড়িহাটি দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজহারুল ইসলাম।

উপজেলার ঝিকরা গ্রামের স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামাজ শেষে বলেন, ‘আষাঢ়-শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন না। অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মুসল্লিরা ইস্তিসকার নামাজ আদায় করে শান্তি ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।’

নামাজে অংশ নেওয়া উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য ছয় গ্রামের ধর্মপ্রাণ তিন শতাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে বিলের ভেতর ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার রহমতের বৃষ্টি চেয়েছি। আজ ও আগামীতাল সোমবার এ মাঠে একই সময়ে বৃষ্টির জন্য এই ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হবে। ইতোমধ্যে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

মোল্লাহাটে কম্বল বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

কেশবপুরে বৃষ্টির আশায় কৃষকদের নামাজ আদায়

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

দীর্ঘ খরায় ফসল ফলাতে না পারায় বৃষ্টির আশায় নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন কেশবপুরে কৃষকরা। গতকাল শনিবার উপজেলার ঝিকরা বিলে ৬ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ নামাজ আদায় করেন।

বৃষ্টির পানির অভাবে কেশবপুরের চাষিদের আমন চাষের জমি শুকিয়ে ফেটে যাওয়ায় কাঙ্খিত ফলন নিয়ে তারা শঙ্কিত। বৃষ্টি কম হওয়ায় পুকুর, খাল বিল পানি শুন্য থাকায় কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাঁটা পাট নিয়ে ছুটছেন কৃষকরা। মৌসুম শেষ হলেও বৃষ্টি নেই। তাই বৃষ্টির আশায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছেন তারা।

উপজেলার বুড়িহাটি, বারুইহাটি, ফতেপুর, ঝিকরা, পাত্রপাড়া ও শ্রীপুর গ্রামের মুসল্লিরা অংশ নেন। এ নামাজে ইমামতি করেন উপজেলার বুড়িহাটি দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজহারুল ইসলাম।

উপজেলার ঝিকরা গ্রামের স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামাজ শেষে বলেন, ‘আষাঢ়-শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন না। অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মুসল্লিরা ইস্তিসকার নামাজ আদায় করে শান্তি ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।’

নামাজে অংশ নেওয়া উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য ছয় গ্রামের ধর্মপ্রাণ তিন শতাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে বিলের ভেতর ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার রহমতের বৃষ্টি চেয়েছি। আজ ও আগামীতাল সোমবার এ মাঠে একই সময়ে বৃষ্টির জন্য এই ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হবে। ইতোমধ্যে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছি।