
খাদ্যপণ্য মজুত ও সিন্ডিকেট করে যারা বাজারে সংকট তৈরি করে, তাদের রুখতে এবার কঠোর আইন করছে সরকার।
আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যারা বাজারে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাদের জন্যই এই আইন বলে জানিয়েন খাদ্য সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল।খাদ্য সচিব বলেন, ‘আইনটি হলে খাদ্যপণ্যে মজুত বন্ধ হবে।’ আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পাস করা হবে বলে জানান তিনি।
দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। চাল কিছুটা কম আমদানি হলেও গম, তেল, চিনি, মসুর ডাল- এসব পণ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। গমের চাহিদা ৭০ থেকে ৭২ লাখ মেট্রিক টন, আমদানি করা হয় প্রায় ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। তেল লাগে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন, এর প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টনই বিদেশ থেকে কিনতে হয়। চিনির চাহিদাও প্রায় ২০ লাখ টন, দেশে উৎপাৎদন হয় মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন। মসুর ডালও চাহিদার বেশিটা কিনতে হয় বিদেশ থেকে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে বাজার থেকে অনেক পণ্য হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। বাজারে চালের মজুত থাকলেও এক লাফে কেজিতে দাম বেড়ে যায় ৫ টাকা পর্যন্ত। সরকার বলছে, এসব সংকট পুরোটাই কৃত্রিমভাবে তৈরি। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই খাদ্য মজুত করে ফেলে। তাই এদের ধরতে এবার কঠোর হচ্ছে সরকার।
খাদ্য সচিব জানান, ‘খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, সরবরাহ, পরিবহন এবং ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ’ নামে একটি আইন করা হচ্ছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তিনি বলেন, ‘মূলত মজুত করা বন্ধ করতেই আইনে এমন কঠোর শাস্তি রাখা হয়েছে। ’
আগামী শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে এই আইন পাস হবে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে সমালোচনার মধ্যে ফেলতেই কিছু ব্যবসায়ী এই কাজটি করেন। ’
জানুযারি থেকেই এই আইনের প্রয়োগ শুরু হবে জানিয়ে খাদ্য সচিব বলেন, ‘এর ফলে বাজারে অস্থিরতা অনেক কমে যাবে। ’