০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

###    আগামীকাল শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে  “শান্তি সমাবেশ” করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। একইদিনে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন কেসিসি মার্কেটের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর আওয়ামীলগের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আগামী কাল শনিবার বিকাল ৩টায় নগরীর শিববাড়ির মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। যারা সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলে কোন অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় না। সুতরাং বিএনপি- জামায়াতকে মোকাবেলা করতে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশকে জনসভায় পরিণত করে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, খুলনায় শান্তি সমাবেশের কথা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। তাদের এ ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেয়া যাবে না। সেজন্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ জানান, শান্তি সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন।

এর আগে ১০ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। দলটি শনিবার এ কর্মসূচি পালনের জন্য শহীদ হাদিস পার্ক বা সোনালী ব্যাংক চত্বর বরাদ্দের জন্য সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছে।এর প্রেক্ষিতে তাদের কেসিসি মার্কেটের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে কেসিসি।

এ বিষয়ে বিএনপির নগর আহ্ববায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, পুলিশ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাসী ও হয়রানি করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাই খুলনায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট, হ্যা-বিল বিতরণ করা হয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

খুলনায় একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

প্রকাশিত সময় : ০৫:২০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    আগামীকাল শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে  “শান্তি সমাবেশ” করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। একইদিনে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন কেসিসি মার্কেটের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর আওয়ামীলগের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আগামী কাল শনিবার বিকাল ৩টায় নগরীর শিববাড়ির মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। যারা সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলে কোন অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় না। সুতরাং বিএনপি- জামায়াতকে মোকাবেলা করতে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশকে জনসভায় পরিণত করে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, খুলনায় শান্তি সমাবেশের কথা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। তাদের এ ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেয়া যাবে না। সেজন্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ জানান, শান্তি সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন।

এর আগে ১০ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। দলটি শনিবার এ কর্মসূচি পালনের জন্য শহীদ হাদিস পার্ক বা সোনালী ব্যাংক চত্বর বরাদ্দের জন্য সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছে।এর প্রেক্ষিতে তাদের কেসিসি মার্কেটের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে কেসিসি।

এ বিষয়ে বিএনপির নগর আহ্ববায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, পুলিশ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাসী ও হয়রানি করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাই খুলনায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট, হ্যা-বিল বিতরণ করা হয়েছে।