০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে ঠাঁই হয়নি সাবেক সভাপতি মঞ্জুর, উল্টো সমর্থকরা মারপিট ও লাঞ্ছনার শিকার

####

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে ঠাঁই পাননি সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার সমর্থকরা। উল্টো বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের হাতে মারপিট ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন মহানগর তার অনুসারীরা।সোমবার দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। তবে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ঘটনাটি তেমন কিছু না বলে তিনি এড়িয়ে যান। সরকারের পদত্যাগ, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের দাবিতে বিএনপির অংগ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে খুলনায় বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, খুলনায় বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে সোমবার সকাল থেকেই বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ব্যানারসহ সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে বিএনপির সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক যুগ্মসম্পাদক অধ্যা. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তারুণ্যের সমাবেশ মঞ্চে চলছিল জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুরসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা সমাবেশ মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় মঞ্চ থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির নেতারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরা ছাত্র ও যুবদলের মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদেরকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিতে বলেন। তখনও সমাবেশ মঞ্চের সামনের সারিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, অধ্যা. তারিকুল ইসলামসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে ও বসে ছিল। তারা হলুদ ক্যাপ ও হলুদ গেঞ্জি পরিহিত ছিলো। বিষয়টি বেগতিক দেখে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বার বার সবুজ ও লাল ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীদের সামনের সারিতে যেখানে মঞ্জু ও তার অনুসারীরা রয়েছে সেখানে অবস্থান নিতে বলা হয়। এভাবে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বারবার উস্কানী দেওয়ার এক পর্যায়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে সামনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। তখন মঞ্চের সামনে অবস্থান গ্রহণ নিয়ে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি ও জটলা সৃষ্টি হয়। তখন দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে দু-গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মঞ্জু গ্রুপের ৪/৫জনসহ বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ এগিয়ে আসলে তাদের উপরও চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে থেকে পিছু হটে পাশের রাস্তায় অবস্থান নেয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থানের পর সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে আসেন। তখন খুলনা মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খানসহ খুলনার অনেক নেতাকে মঞ্চে ডাকা হয়। কিন্তু মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভা মঞ্চে ডাকা হয়নি। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও অধ্যা. তারিকুল ইসলাম তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্ষোভে ও দুঃখে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে বর্তমান মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের উচ্ছৃখল আচরণ ও মারপিটের ঘটনায় মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিষয়টি তেমন কিছু নয় বলে অস্বীকার করেছেন।তবে বিএনপির মিডিয়া সেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য জানান, দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি মঞ্জু গ্রুপের কিছু লোকজন সমাবেশ স্থলে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। যারা মূলত বর্তমান অবৈধ সরকারের চর হিসেবে কাজ করছে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে ঠাঁই হয়নি সাবেক সভাপতি মঞ্জুর, উল্টো সমর্থকরা মারপিট ও লাঞ্ছনার শিকার

প্রকাশিত সময় : ১২:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

####

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে ঠাঁই পাননি সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার সমর্থকরা। উল্টো বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের হাতে মারপিট ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন মহানগর তার অনুসারীরা।সোমবার দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। তবে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ঘটনাটি তেমন কিছু না বলে তিনি এড়িয়ে যান। সরকারের পদত্যাগ, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের দাবিতে বিএনপির অংগ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে খুলনায় বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, খুলনায় বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে সোমবার সকাল থেকেই বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ব্যানারসহ সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে বিএনপির সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক যুগ্মসম্পাদক অধ্যা. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তারুণ্যের সমাবেশ মঞ্চে চলছিল জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুরসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা সমাবেশ মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় মঞ্চ থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির নেতারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরা ছাত্র ও যুবদলের মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদেরকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিতে বলেন। তখনও সমাবেশ মঞ্চের সামনের সারিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, অধ্যা. তারিকুল ইসলামসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে ও বসে ছিল। তারা হলুদ ক্যাপ ও হলুদ গেঞ্জি পরিহিত ছিলো। বিষয়টি বেগতিক দেখে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বার বার সবুজ ও লাল ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীদের সামনের সারিতে যেখানে মঞ্জু ও তার অনুসারীরা রয়েছে সেখানে অবস্থান নিতে বলা হয়। এভাবে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বারবার উস্কানী দেওয়ার এক পর্যায়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে সামনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। তখন মঞ্চের সামনে অবস্থান গ্রহণ নিয়ে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি ও জটলা সৃষ্টি হয়। তখন দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে দু-গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মঞ্জু গ্রুপের ৪/৫জনসহ বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ এগিয়ে আসলে তাদের উপরও চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে থেকে পিছু হটে পাশের রাস্তায় অবস্থান নেয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থানের পর সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে আসেন। তখন খুলনা মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খানসহ খুলনার অনেক নেতাকে মঞ্চে ডাকা হয়। কিন্তু মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভা মঞ্চে ডাকা হয়নি। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও অধ্যা. তারিকুল ইসলাম তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্ষোভে ও দুঃখে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে বর্তমান মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের উচ্ছৃখল আচরণ ও মারপিটের ঘটনায় মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিষয়টি তেমন কিছু নয় বলে অস্বীকার করেছেন।তবে বিএনপির মিডিয়া সেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য জানান, দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি মঞ্জু গ্রুপের কিছু লোকজন সমাবেশ স্থলে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। যারা মূলত বর্তমান অবৈধ সরকারের চর হিসেবে কাজ করছে।##