প্রকাশিত সময় :
০৭:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
৩৬
পড়েছেন
অফিস ডেক্স।।
### খুলনার সোনাডাঙ্গার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলয় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া চারজনকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮নভেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আঃ ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো-মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস(পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মোঃ রাব্বি হাসান পরশ, মো: মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম,(পলাতক) ও মোঃ মিম হোসেন। এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তারা হলো- নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মোঃ সৌরব শেখ ও মোঃ জিহাদুল কবির দিহান। এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবীকে আরও ৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মোবাইল ফোনের মধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেয় শান্ত। সাহেবের কবর খানা এলাকায় উভয় এক সাথে মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। শান্তর ভিডিও ধারণ করে তার সহযোগীরা। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামিরা ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভিকটিম বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন তার বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন(মামলানং ২২)। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নামোল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। মঙ্গলবার সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও প্রমান সাপেক্ষে আদালত রায় ঘোষনা করে। ##