তরিকুল ইসলাম ডালিম, খুলনা অফিসঃ
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলার রায়ে ৫ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলায় দুইজন আসামি উপস্থিত থাকলেও ৩ জন পলাতক রয়েছে। গতকাল দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আলী আকবর ওরফে হৃদয়, মেহেদী হাসান ওরফে ইবু, এছাড়া পলাতক তিন আসামিরা হল সোহেল, আব্দুল্লাহ ও মোহন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ঐ ভিকটিম খালীশপুরের ১ নং ক্ষ্যামা বিহারী ক্যাম্পের একটি টিউবওয়েলে হাত মুখ ধুচ্ছিলেন। এ সময় একই ক্যাম্পের মোহন খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে তাকে শিয়া মসজিদের কাছে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে পূর্বে অপেক্ষারত মোহনের সঙ্গী আলী আকবর তাকে পাশ্ববর্তী ভেড়িবাদ কলা বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত অন্যান্য আসামিরা একত্রিত হয়ে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ক্ষ্যামা বিহরী কলোনীর পাশে রাস্তার ওপর ফেলে যায়। এ সময় আসামি আলী আকবর কিশোরীকে ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য হুমকি দেয়। কিশোরী বাড়ি এসে মায়ের সামনে ঘটনাটি খুলে বলে। পরবর্তীতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী রেজাউল করিম ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন আদালতে ১২ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, কিশোরী বাংলাদেশে আটক থাকা পাকিস্তনী বিহারী ক্যাম্পের একজন সদস্যের মেয়ে। একটি ঐতিহাসিক রায় হয়েছে। উচ্চ আদালত যেন নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখে সেই প্রত্যাশা করি। বহাল থাকলে দেশে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।##