![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
### খুলনায় সাংবাদিকতার নামে সোহাগ দেওয়ানসহ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। একই সাথে খুলনার উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঠিকাদার ও সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে দূর্নাম রটিয়ে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে খুলনা সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার কল্যান সমিতির সদস্যবৃন্দ। অনুমোদনহীন অনলাইন খুলনা প্রতিদিন নামে পোর্টালে ও সোসাল মিডিয়া ফেসুবকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ভিডিও প্রচার করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা। বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কেসিসি ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান রোজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো:গোলাম আজম। এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি মো: মনিরুজ্জামান খোকন, সাধারন সম্পাদক তছলিম আহমেদ আশা, মফিদুল ইসলাম টুটুল, উপদেষ্টা আ: রাজ্জাক, আশরাফ আলী হাওলাদার, মাসুদুর রহমান, শিহাব উদ্দিন, তাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও মো: আকবরসহ ঠিকাদার কল্যান সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদার গোলাম আজম বলেন, কেসিসির ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৪নং ওয়ার্ডের বাগমারা মেইন রোডে বিদ্যমান ড্রেন উন্নয়ন কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রোজা এন্টারপ্রাইজ সুষ্ঠভাবে করছে। গত ১৭অক্টোবর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম খুলনা প্রতিদিন-এর সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান উক্ত কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে শিরোনামে একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে। যা সর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে। এর মাধ্যমে সোহাগ দেওয়ান পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্টান রোজা এন্টারপ্রাইজ ও কেসিসির সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অধীনে চলমান রেলের উন্নয়ন কাজ কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীসহ ঢাকাস্থ কনসালটেন্ট সংস্থা ডিডিসি এবং থার্ড পার্টি কনসালটেন্ট হিসেবে খুলনা প্রকৌশর ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঢালাই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক কাজের গুনগত মান রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যা নগরবাসী সবাই জানেন। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। সেজন্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান রোজা এন্টারপ্রাইজের সুনাম ক্ষন্ন করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান ঠিকাদার গোলাম আজম। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম আজম বলেন, প্রকৃতপক্ষে ড্রেনের ঢালাই কাজের সময় দেখা যায় সাব-কন্ট্রাক্টর রডের জোড়ার ক্ষেত্রে একটি স্থানে ৬-৮ইঞ্চি পরিমান রড ফাকা রাখেন। কিন্তু সে ্রতুটি ধরা পড়ার পর তার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। পরে ওই সাব-কন্ট্রাক্টরের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এই রড কম দেওয়ার বিষয়ে দেখতে গিয়ে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ঢালাই দেয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা ভিডিও সংবাদ অনলাইনে প্রকাশ করে। যদি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অনলাইনে ভিডিও সংবাদ প্রকাশ করার দায়ে সোহাগ দেওয়ান ক্ষা না চায় তাহলে তিনি তার বিুরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কেসিসি ঠিকাদার কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক তছলিম আহমেদ আশা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারের অনুমোদনহীন, ভুইপোড় অনলাইনের সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ঢালাই দেওয়ার যে কথা অনলাইন পোর্টাল খুলনা প্রতিদিনের ভিডিও সংবাদে বলেছেন সেটি সম্পূর্নভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই সোহাগ দেওয়ান নগরীতে সাংবাদিকতার নাম নিয়ে নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপর্ম অপকর্ম এবং অপরাধমূলক কাজে জড়িত রয়েছে। সে মানুষের বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সোহাগ দেওয়ান তার অপকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ঠিকাদাররা আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি। খুলনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এবং খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সোহাগ দেওয়ান খুলনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে জড়িত নয়। যদি সে কোন অপরাধমূলক কাজ ও অন্যের মানহানিকর কাজ করে থাকে তবে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে পারেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। তার অপকর্মের দায় তাকেই বহন করতে হবে। কোনভাবেই সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর পড়বে না। ##