
তরিকুল ইসলাম ডালিম, খুলনাঃ
দীর্ঘ ২০ বছর পর আগামি ২৪ জানুয়ারী খুলনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের ভিতর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় পদ পাওয়ার আশায় হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী দলের দুর্দিনে যারা সাধারণ নেতাকর্মীদের পাশে ছিল এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হলে সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে। জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদের নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে। তিনি ১৯৮৭ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তারপর ১৯৯২ সালে সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, ২০০২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে খুলনা জেলা পরিষদের সদর আসন থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যার কারনে বিভিন্ন সময় তিনি জেল খেটেছেন, নির্জাতনের শিকার হয়েছেন। চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে দলের প্রশ্নে কখনো তিনি আপোস করেননি। এ সকল কারনে দল তাকে মনোনয়ন দিবে বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী বিগত দিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি দলের জন্য বার বার নির্জাতনের শিকার হয়েছেন,কারা বরন করেছেন। এ সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে আগামি দিনে জেলা যুবলীগ আরো শক্তিশালী হবে বলে তারা মনে করছেন। ২০০৩ সালে সর্বশেষ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে কামরুজ্জামান জামাল সভাপতি ও আক্তারুজ্জামান বাবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।##