০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডি-নথির আওতায় আসবে

###    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে ডি-নথির বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রশিক্ষণ ১৯ মার্চ (রবিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম ভবনের মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাবে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য স্থান অর্জন করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তি, ফিস জমা, রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে পেপারলেস করার উদ্দেশ্যে ই-ফাইলিং থেকে ই-নথি এবং সর্বশেষ ডি-নথি এসেছে। তিনি আরও বলেন, সকলের আন্তরিকতায় গত দুই বছর ধরে ফাইল চলাচলে গতি এসেছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফাইলের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ডি-নথি চালু হলে মাত্র ১ কর্মদিবসের মধ্যে ফাইলের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা ও আন্তরিকতা এবং কর্মদক্ষতা প্রয়োজন। এলক্ষ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে ডি-নথির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডি-নথির মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যেও প্রবেশ করছি। এটি চালু হলে নথি কাটাকাটি করা যাবে না, একবার নথিতে ভুল হলে তা সমাধানের সুযোগ পাওয়া যাবে না। এজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করে নিজেদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ রাখতে হবে।  তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে হবে, না হলে আমরা ছিটকে পড়বো। এজন্য নিজেদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সব সময় শেখার মনোভাব থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের। সভাপতির বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম ও আইসিটি সেলের সহকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইঞ্জি. রাহুল দেব মহালদার। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। আগামী ২৮ ও ৩০ মার্চ ডি-নথির আরও দুটি ধাপের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডি-নথির আওতায় আসবে

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

###    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে ডি-নথির বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রশিক্ষণ ১৯ মার্চ (রবিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম ভবনের মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাবে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য স্থান অর্জন করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তি, ফিস জমা, রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে পেপারলেস করার উদ্দেশ্যে ই-ফাইলিং থেকে ই-নথি এবং সর্বশেষ ডি-নথি এসেছে। তিনি আরও বলেন, সকলের আন্তরিকতায় গত দুই বছর ধরে ফাইল চলাচলে গতি এসেছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফাইলের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ডি-নথি চালু হলে মাত্র ১ কর্মদিবসের মধ্যে ফাইলের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তা ও আন্তরিকতা এবং কর্মদক্ষতা প্রয়োজন। এলক্ষ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে ডি-নথির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডি-নথির মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যেও প্রবেশ করছি। এটি চালু হলে নথি কাটাকাটি করা যাবে না, একবার নথিতে ভুল হলে তা সমাধানের সুযোগ পাওয়া যাবে না। এজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করে নিজেদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ রাখতে হবে।  তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে হবে, না হলে আমরা ছিটকে পড়বো। এজন্য নিজেদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সব সময় শেখার মনোভাব থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের। সভাপতির বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম ও আইসিটি সেলের সহকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইঞ্জি. রাহুল দেব মহালদার। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। আগামী ২৮ ও ৩০ মার্চ ডি-নথির আরও দুটি ধাপের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।##