![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
####
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের সাফায়াত ইসলাম সাগর নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার(১৪ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গল্লামারী মোড় সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দূর্ভোগে পড়ে নগরী থেকে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের সাফায়াত ইসলাম সাগরকে তুচ্ছ ঘটনায় ট্রাকচালকসহ স্থানীয় তিনজন দূবৃর্ত্ত বেপরোয়া মারপিট করে আহত করে। মারপিটে তার নাক ও ঠোঁট ফেটে যায়। এ খবর ক্যাম্পাসে এসে পৌছালে তার বন্ধুরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সবাই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল। কিন্তু সোনাডাঙ্গা থানার দুই এসআই রহিত রায় ও অর্শিদ এসে ছাত্রদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও বাজে মন্তব্য করে।এ সময় পুলিশ ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।এমনকি পুলিশের দুই অফিসার বোমাবাজি ও নাশকতার মামলা দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয়। ছাত্রদের উপর হামলা ও পুলিশের অশোভন আচরন এবং হুমকির প্রতিবাদে তারা দুই দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। সাগরের উপর হামলাকালী তিনজনকে গ্রেপ্তার ও পুলিশের দুই এসআই রহিত রায় ও অর্শিদকে প্রত্যাহার করা না হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করবেন না। পরে পুলিশ হামরাকালী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় দাবির বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।পুলিশ কমিশনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাগরকে মারপিটকারী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরে কেএমপির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রায় চার ঘন্টা পরে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ##