
### খুলনা মহানগরীতে বিভিন্ন ভাবে পরিচয়ের সূত্র ধরে ব্ল্যাকমেইলিং ও পর্নগ্রাফির মাধ্যমে চাঁদাবাজি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বটিয়াঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা লিয়াকত হোসেন বুড়োকে আটক করে লবণচরা থানা। সে সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। এর আগে এই চক্রের আরও দুই সহযোগী বিল্লাল হোসেন ও স্বর্ণাকে আটক করে পুলিশ। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এনামুল হক। পুলিশ জানায়, খুলনা মহানগরীতে বিভিন্ন ভাবে পরিচয়ের সূত্র ধরে ব্ল্যাকমেইলিং ও পর্নগ্রাফির মাধ্যমে চাঁদাবাজি করত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্র অভিনব কৌশলে লবণচরা থানার মোহম্মদনগর তালুকদার সড়কের বশির ইসলামের বাড়ির ভাড়াটি ব্যবসায়ী মোঃ আল-আমিন শেখকে ফাদে ফেলে। এ সময় তাকে মারপিট ও হুমকি দিয়ে নগদ ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা ও দুটি স্বর্ণের আংটিসহ সর্বস্ব লুটে নেয় ওই প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আল-আমিন শেখ বাদী হয়ে গত ০৫ নভেম্বর লবণচরা থানায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা মৃত আব্দুল হকের ছেলে লিয়াকত হোসেন বুড়োসহ তার সহযোগী বিল্লাল হোসেন, স্বর্ণা ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলা করেন। মঙ্গলবার রাতে বটিয়াঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী লিয়াকত হোসেন বুড়োকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, আল-আমিন শেখকে স্বর্ণা নামের একটি মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন পূর্ব পরিচিত বিল্লাল হোসেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে নেন একে অপরের মোবাইল নম্বর। গত ৩ নভেম্বর বৃহঃবার দুপুরে দোকান থেকে বাসায় ফেরার সময় স্বর্ণা মোবাইলে কল করে বলেন আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপদে পড়েছে ১০০টাকা প্রয়োজন। বিপদের কথা শুনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যেয়ে তাকে সেই টাকা দিয়ে বাসায় ফিরে গোসলে ঢুকলে গোপনে স্বর্ণা তারপিছু নিয়ে ঐ বাসায় ঢুকে পড়েন। এরপর ঘটে প্রতারণার ঘটনা। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা স্বর্ণার সহযোগীরা আল-আমিনকে মারধর করে তার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি ও ভিডিও করতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে আল-আমিনের ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণের আংটিসহ সর্বস্ব লুটে নেয় এবং ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে হুমকি দেয় ওই প্রতারক চক্র। ##