০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা মেডিকেলে নারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

###    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা করে একজন নারী চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং আসামীদের গ্রেফতার, শাস্তি এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার শহীদ ডা. মিলনা চত্ত্বর সাতরাস্তার মোড় খুলনায় বিএমএ খুলনা শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা. সাইফুল্লাহ্ মানছুরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএমএ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিজিটিডিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. হিমাদ্রী শেখর, শিশু বিভাগের প্রধান ডা. রোকসানা পারভিন, খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্দর, সহসভাপতি ডা. তৌফিক বাশার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. তিথি মল্লিক, ডা. ইনামুল হাসান সিদ্দিকী, ডা. নয়ন পাল, আকিজ আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নী চিকিৎসকদের সভাপতি শেখ ডা. মাহ্মুদুল হাসান।
বিএমএ নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১১ ফেব্রয়ারী সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা করে একজন নারী চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কওে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান। বক্তারা আরও বলেন, ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন প্রাং ১৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। অন্যদিকে ৫০০ বেডের অনুপাতে হাসপাতালে জনবল প্রায় ৩০ ভাগ কম। এমতাবস্থায় এত কম সংখ্যক চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং অপ্রত্যুল চিকিৎসা উপকরন দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় একটি জটিল পরিস্থিতি ধারন করেছে। যা চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে দুরত্ব ও ভূলবোঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। বক্তারা আরো বলেন, রাষ্ট্রের অনেক কম ঝুকিপূর্ন জায়গা বা প্রতিষ্ঠানে নিছিদ্ধ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও অনুমোদিত শয্যার কয়েক গুন বেশি রোগী নিয়ে চলমান স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নেই পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার ফলে জন-সাধারণ হর হামেসাই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালাচ্ছে এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর স্বজন নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিগৃহিত হয়েই চলেছে। এই ঘটনার অবসান হওয়া জরুরি প্রয়োজন। এই ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না করে হলে এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহন না করা হলে পরবর্তীতে কঠিন কর্মসূচি মাধ্যমে দাবী আদায়ের ঘোষনা দেন বক্তারা। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

খুলনা মেডিকেলে নারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত সময় : ১২:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা করে একজন নারী চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং আসামীদের গ্রেফতার, শাস্তি এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার শহীদ ডা. মিলনা চত্ত্বর সাতরাস্তার মোড় খুলনায় বিএমএ খুলনা শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা. সাইফুল্লাহ্ মানছুরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএমএ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিজিটিডিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. হিমাদ্রী শেখর, শিশু বিভাগের প্রধান ডা. রোকসানা পারভিন, খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্দর, সহসভাপতি ডা. তৌফিক বাশার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. তিথি মল্লিক, ডা. ইনামুল হাসান সিদ্দিকী, ডা. নয়ন পাল, আকিজ আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নী চিকিৎসকদের সভাপতি শেখ ডা. মাহ্মুদুল হাসান।
বিএমএ নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১১ ফেব্রয়ারী সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা করে একজন নারী চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে শাররীক ভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কওে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান। বক্তারা আরও বলেন, ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন প্রাং ১৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। অন্যদিকে ৫০০ বেডের অনুপাতে হাসপাতালে জনবল প্রায় ৩০ ভাগ কম। এমতাবস্থায় এত কম সংখ্যক চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং অপ্রত্যুল চিকিৎসা উপকরন দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় একটি জটিল পরিস্থিতি ধারন করেছে। যা চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে দুরত্ব ও ভূলবোঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। বক্তারা আরো বলেন, রাষ্ট্রের অনেক কম ঝুকিপূর্ন জায়গা বা প্রতিষ্ঠানে নিছিদ্ধ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও অনুমোদিত শয্যার কয়েক গুন বেশি রোগী নিয়ে চলমান স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নেই পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার ফলে জন-সাধারণ হর হামেসাই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালাচ্ছে এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর স্বজন নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিগৃহিত হয়েই চলেছে। এই ঘটনার অবসান হওয়া জরুরি প্রয়োজন। এই ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না করে হলে এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহন না করা হলে পরবর্তীতে কঠিন কর্মসূচি মাধ্যমে দাবী আদায়ের ঘোষনা দেন বক্তারা। ##