১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গলাচিপায় নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য মানববন্ধন

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৯ পড়েছেন

রিপন বিশ্বাস, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম গলাচিপা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি আটখালী গ্রামে ভাঙ্গন কবলিত গলাচিপা নদীর তীরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আর নয় বেড়িবাঁধ নদী শাসন করে তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী দাবি তুলেন।
উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ তিনটি গ্রামের প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। গলাচিপা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, তেঁতুলতলা বাজার, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা, একটি মন্দির ও জমিদার বাড়িসহ কয়েকশত পরিবার। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তেঁতুলতলা বাজারের দক্ষিণ পাশে প্রায় একশ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক বালির বস্তা ফেলে কোন রকম রক্ষা পায়। নদী শাসন করে এ তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী ৫-৬ বছর ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফল পায়নি।
মানববন্ধনে গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি ও আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা নদীর ভাঙ্গনে আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। যদি নদী শাসন না করা হয় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
আরও বক্তব্য রাখেন ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ গাজী, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহ আলম মৃধা প্রমুখ।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এ্যাম্বুলেন্স অকেজো, চরম দূর্ভোগে রোগীরা

গলাচিপায় নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

রিপন বিশ্বাস, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম গলাচিপা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি আটখালী গ্রামে ভাঙ্গন কবলিত গলাচিপা নদীর তীরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আর নয় বেড়িবাঁধ নদী শাসন করে তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী দাবি তুলেন।
উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ তিনটি গ্রামের প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। গলাচিপা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, তেঁতুলতলা বাজার, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা, একটি মন্দির ও জমিদার বাড়িসহ কয়েকশত পরিবার। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তেঁতুলতলা বাজারের দক্ষিণ পাশে প্রায় একশ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক বালির বস্তা ফেলে কোন রকম রক্ষা পায়। নদী শাসন করে এ তিনটি গ্রাম রক্ষার জন্য এলাকাবাসী ৫-৬ বছর ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফল পায়নি।
মানববন্ধনে গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি ও আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা নদীর ভাঙ্গনে আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। যদি নদী শাসন না করা হয় তাহলে অচিরেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
আরও বক্তব্য রাখেন ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ গাজী, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু ও শাহ আলম মৃধা প্রমুখ।