
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গাছ চাপা দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গাছ উপড়ে পড়ায় গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মুহাম্মদ আবুল মনসুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের রেজাউল খার স্ত্রী শারমিন বেগম(২৫) ও বাঁশবাড়িয়ার চরপাড়া গ্রামের হান্নান তালুকদারের স্ত্রী রোমেছা বেগম(৫৮)।
ওসি আবুল মনসুর জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পাঁচকাহনিয়া গ্রামে একটি খেজুর গাছ রেজাউল খার বসত ঘরে উপড়ে পড়ে। এতে রেজাউল খার স্ত্রী শারমিন বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এর আগে একই দিন রাত সোয়া ৮ টার দিকে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার চরপাড়া গ্রামের হান্নান তালুকদারের ঘরের উপর চম্বল গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে রোমেছা বেগম মারা যান।
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়ায় গাছ পড়ে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে অর্ধশতাধিব যানবাহন। এলাকাবাসী সড়কের ওপর থাকা গাছগুলো কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে কাচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং অনেক গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা দুই নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের দাফন কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বসত ঘর ঠিক করে দেওয়া হবে। এছাড়া জেলার অন্য কোথাও কারোর বাড়িঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদেরকেও ক্ষতি পূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।