০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ প্রবীণ

###    গোপালগঞ্জ জেলায় ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ প্রবীণ নাগরিক । এতে  দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বিশাল প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে  পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠী এভাতা পেয়ে আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন। এ ভাতা পেয়ে গোপালগঞ্জের প্রবীণ জনগোষ্ঠী খুব খুশি।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ জন প্রবীণ বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ২’শ ৭০ জন, পৌরসভায় ১ হাজার  ১’শ ৯৫ , টুঙ্গিপাড়ায় ৬ হাজার  ৫’শ ৩১ , কোটালীপাড়ায় ১৫ হাজার  ৭’শ ৬ , মুকসুদপুরে ১৬ হাজার ৯’শ ৮৯  এবং  কাশিয়ানী উপজেলায় ১২ হাজার ২৬ জন  উপকারভোগী রয়েছে। এ ভাতা পেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠী তাদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পারছেন। গোপালগঞ্জ শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারহানা নাসরিন বলেন, দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ও পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ‘বয়স্কভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন  করেন। প্রাথমিকভাবে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাসহ ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়। পরবর্তীতে দেশের সকল পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশন এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়। ফারহানা নাসরিন বলেন, এ কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো; মহিলাদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয়  সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ এবং ডাটাবেইজ প্রণয়ন।মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে (গভর্মেন্ট টু পারসন) ভাতা প্রদান করা।
গোপালগঞ্জ শহরের মান্দারতলা এলাকার উপকারভোগী খোকন শেখ বলেন, আয় করতে পারি না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মেবাইলেই টাকা চলে আসে। এ ভাতার টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে খাই। মাঝে মধ্যে পছন্দের খাবারও কিনে খেতে পারি। এ বয়সে ভাতা পেয়ে বেশ ভালো আছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। মৌলভীপাড়া এলাকার নূরী বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতার ব্যবস্থা করে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। ঘরে বসেই ভাতা পাচ্ছি। কোন হয়রাণী নেই। সংসারের দারিদ্রতা হ্রাস করতে এ ভাতা অনেক সহায়তা করছে। চরসোনকুড় এলাকার ফুরি বেগম বলেন, আমি অসহায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স্ক ভাতা আমার শেষ জীবনের বাঁচার অবলম্বন।  ঘরে বসেই ভাতা পাচ্ছি। কোথাও যেতে হচ্ছে না।  এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  জন্য  আল্লাহর কাছে দোয়া  করি ।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

গোপালগঞ্জে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ প্রবীণ

প্রকাশিত সময় : ১২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    গোপালগঞ্জ জেলায় ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ প্রবীণ নাগরিক । এতে  দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বিশাল প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে  পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠী এভাতা পেয়ে আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন। এ ভাতা পেয়ে গোপালগঞ্জের প্রবীণ জনগোষ্ঠী খুব খুশি।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৬৯ হাজার ৭’শ ১৭ জন প্রবীণ বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ২’শ ৭০ জন, পৌরসভায় ১ হাজার  ১’শ ৯৫ , টুঙ্গিপাড়ায় ৬ হাজার  ৫’শ ৩১ , কোটালীপাড়ায় ১৫ হাজার  ৭’শ ৬ , মুকসুদপুরে ১৬ হাজার ৯’শ ৮৯  এবং  কাশিয়ানী উপজেলায় ১২ হাজার ২৬ জন  উপকারভোগী রয়েছে। এ ভাতা পেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠী তাদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পারছেন। গোপালগঞ্জ শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারহানা নাসরিন বলেন, দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ও পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ‘বয়স্কভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন  করেন। প্রাথমিকভাবে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাসহ ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়। পরবর্তীতে দেশের সকল পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশন এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়। ফারহানা নাসরিন বলেন, এ কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো; মহিলাদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয়  সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ এবং ডাটাবেইজ প্রণয়ন।মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে (গভর্মেন্ট টু পারসন) ভাতা প্রদান করা।
গোপালগঞ্জ শহরের মান্দারতলা এলাকার উপকারভোগী খোকন শেখ বলেন, আয় করতে পারি না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মেবাইলেই টাকা চলে আসে। এ ভাতার টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে খাই। মাঝে মধ্যে পছন্দের খাবারও কিনে খেতে পারি। এ বয়সে ভাতা পেয়ে বেশ ভালো আছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। মৌলভীপাড়া এলাকার নূরী বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতার ব্যবস্থা করে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। ঘরে বসেই ভাতা পাচ্ছি। কোন হয়রাণী নেই। সংসারের দারিদ্রতা হ্রাস করতে এ ভাতা অনেক সহায়তা করছে। চরসোনকুড় এলাকার ফুরি বেগম বলেন, আমি অসহায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স্ক ভাতা আমার শেষ জীবনের বাঁচার অবলম্বন।  ঘরে বসেই ভাতা পাচ্ছি। কোথাও যেতে হচ্ছে না।  এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  জন্য  আল্লাহর কাছে দোয়া  করি ।##