০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি : সেখ জুয়েল এমপি

####

বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় ঘাতকেরা। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। তিনি আরো বলেন, এই জঘন্য হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দেয়া, রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করে। পরবর্তী অবৈধ সামরিক সরকার এবং বিএনপি-জামাত সরকারও একই পথ অনুসরণ করে। সেখ জুয়েল এমপি বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যে কোন অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর আত্মত্যাগের মহিমা এবং দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি-শোকের মাসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে শোকাবহ আগস্টের ৪০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর পরিচালনায় শোক সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহম্মেদ আশা, আজগর বিশ্বাস তারা, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এম. এ নাসিম, ড. সাঈদুর রহমান, মো. কামরুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার, হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, মো. জিলহাজ হাওলাদার, মো. আজিম, লুৎফুর নাহার লিলি, রেশমা খাতুন, মো. ফারুক আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, কাজী মুজিবুল হক, রফিকুল ইসলাম মুকুল, শেখ আরিফুল্লাহ, তপন বালা, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, শেখ মিরাজুল ইসলাম, মঈন মিয়া লাভলু, সাজেদুল ইসলাম হক শামীম, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, শেখ শহিদুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম জীবন, আল মামুন সুমন, টোটন হাসান, মো. দেলোয়ার হোসেন, জিয়াউল রহমান জিয়া, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, মো. শাহিন হাওলাদার, মোঃ মনির হোসেন, শেখ নিজাম উদ্দিন, মাসুদ হোসেন সোহান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে ১৫ই আগস্টসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বয়রা বাজার জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি : সেখ জুয়েল এমপি

প্রকাশিত সময় : ১২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

####

বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় ঘাতকেরা। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। তিনি আরো বলেন, এই জঘন্য হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দেয়া, রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করে। পরবর্তী অবৈধ সামরিক সরকার এবং বিএনপি-জামাত সরকারও একই পথ অনুসরণ করে। সেখ জুয়েল এমপি বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যে কোন অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর আত্মত্যাগের মহিমা এবং দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি-শোকের মাসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে শোকাবহ আগস্টের ৪০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর পরিচালনায় শোক সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহম্মেদ আশা, আজগর বিশ্বাস তারা, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এম. এ নাসিম, ড. সাঈদুর রহমান, মো. কামরুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার, হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, মো. জিলহাজ হাওলাদার, মো. আজিম, লুৎফুর নাহার লিলি, রেশমা খাতুন, মো. ফারুক আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, কাজী মুজিবুল হক, রফিকুল ইসলাম মুকুল, শেখ আরিফুল্লাহ, তপন বালা, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, শেখ মিরাজুল ইসলাম, মঈন মিয়া লাভলু, সাজেদুল ইসলাম হক শামীম, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, শেখ শহিদুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম জীবন, আল মামুন সুমন, টোটন হাসান, মো. দেলোয়ার হোসেন, জিয়াউল রহমান জিয়া, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, মো. শাহিন হাওলাদার, মোঃ মনির হোসেন, শেখ নিজাম উদ্দিন, মাসুদ হোসেন সোহান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে ১৫ই আগস্টসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বয়রা বাজার জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম। ##