০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে

খুলনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকাল গভর্ন্যান্স সার্পোট প্রজেক্ট(এলজিএসপি-৩)-এর অগ্রগতি ও অর্জন বিষয়ে জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ কর্মশালা রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী। কর্মশালায় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এলজিএসপি-৩ এর বাস্তবায়ন।

এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।২০১৭ সালের ১জানুয়ারি থেকে ২০২২সালের ৩১ডিসেম্বর এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে সরাসরি থোক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্র্তৃক মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) এর অর্থ দুই কিস্তিতে এবং দক্ষতাভিত্তিক বরাদ্দ (পিবিজি) এর অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করা হয়। মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রাপ্তির শর্তে পূর্ববর্তী বছরের আপত্তিহীন অডিট প্রতিবেদন থাকতে হবে।

এছাড়া জনঅংশগ্রহণমূলক বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট এবং সময়মত ষান্মাসিক রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ বর্ণিত তিনটি শর্তের একটি শর্ত পালনেও ব্যর্থ হবে সে সকল ইউনিয়ন পরিষদ বিবিজি বরাদ্দের ৭৫% অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। মৌলিক থোক বরাদ্দের ২৫% অর্থ সকল ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সমহারে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ৭৫% অর্থ, অডিটে উত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে ৯০% এবং আয়তনের উপর ভিত্তি করে ১০% বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৫৯,৬০ ও ৬১ এর বিধান মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের অডিট বা নিরীক্ষা কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে। সরকারি অডিটের পাশাপাশি বেসরকারি অডিট ফার্ম দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এলজিএসপি-৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে। এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রতিটি বিভাগ থেকে দু’টি করে মোট ১৬টি পৌরসভাকে পাইলট ভিত্তিতে সম্প্রসারিত থোক বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এর আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ৩২টি সূচকের ভিত্তিতে ১০০ নম্বরের ফরমে আর্থিক ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, যেমনঃ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ের হার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, জনগণের অংশগ্রহণ, পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণযণ এবং প্রতিদেন ইত্যাদি বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা পরিমাপ করা হয়ে থাকে। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্টেকহোল্ডারা অংশ গ্রহণ করেন।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে

প্রকাশিত সময় : ০৭:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

খুলনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকাল গভর্ন্যান্স সার্পোট প্রজেক্ট(এলজিএসপি-৩)-এর অগ্রগতি ও অর্জন বিষয়ে জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ কর্মশালা রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী। কর্মশালায় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এলজিএসপি-৩ এর বাস্তবায়ন।

এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।২০১৭ সালের ১জানুয়ারি থেকে ২০২২সালের ৩১ডিসেম্বর এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে সরাসরি থোক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্র্তৃক মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) এর অর্থ দুই কিস্তিতে এবং দক্ষতাভিত্তিক বরাদ্দ (পিবিজি) এর অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করা হয়। মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রাপ্তির শর্তে পূর্ববর্তী বছরের আপত্তিহীন অডিট প্রতিবেদন থাকতে হবে।

এছাড়া জনঅংশগ্রহণমূলক বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট এবং সময়মত ষান্মাসিক রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ বর্ণিত তিনটি শর্তের একটি শর্ত পালনেও ব্যর্থ হবে সে সকল ইউনিয়ন পরিষদ বিবিজি বরাদ্দের ৭৫% অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। মৌলিক থোক বরাদ্দের ২৫% অর্থ সকল ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সমহারে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ৭৫% অর্থ, অডিটে উত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে ৯০% এবং আয়তনের উপর ভিত্তি করে ১০% বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৫৯,৬০ ও ৬১ এর বিধান মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের অডিট বা নিরীক্ষা কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে। সরকারি অডিটের পাশাপাশি বেসরকারি অডিট ফার্ম দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এলজিএসপি-৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে। এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রতিটি বিভাগ থেকে দু’টি করে মোট ১৬টি পৌরসভাকে পাইলট ভিত্তিতে সম্প্রসারিত থোক বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এর আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ৩২টি সূচকের ভিত্তিতে ১০০ নম্বরের ফরমে আর্থিক ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, যেমনঃ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ের হার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, জনগণের অংশগ্রহণ, পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণযণ এবং প্রতিদেন ইত্যাদি বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা পরিমাপ করা হয়ে থাকে। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্টেকহোল্ডারা অংশ গ্রহণ করেন।##