০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ণ সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা

###    সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-এর নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, নতুন প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষকদের গবেষণা মনস্কতা, অর্জন ও অগ্রগতিকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, জলবায়ুগত পরিবর্তন ও  পদ্মাসেতু পরবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের ধারা, উন্নয়ন এবং বিনিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ ও সম্ভাবনার নানা ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিতে পারে। এ অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভানার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দিকনির্দেশনা দেওয়া গেলে এবং সরকার সে ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুললে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তখনই বিনিয়োগে আগ্রহী হবে যখন প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠবে। বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র চিহ্নিত করা এবং পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন জরুরি। তিনি বলেন, মোংলা সামুদ্রিক বন্দরের বিকাশ হচ্ছে, ব্যবহার বাড়ছে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে সন্নিহিত শহর আধুনিকমানের নয়। বিশ্বমানের বন্দরের পাশাপাশি বিশ্বমানের শহর পরিপূরক।বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় নানাদিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিবেশ ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য রয়েছে। জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাব এ অঞ্চলেই বেশি। নানামাত্রিক বিরূপতার মধ্যেও মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে ক্রমাগতভাবে লড়াই করে যাচ্ছে। বিনিয়োগ বা বাণিজ্যিক বিকাশের ক্ষেত্রে সুন্দরবনের সাসটেইনিবিলিটির প্যারামিটারগুলোতে বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়সহ নানামুখী গবেষণা হচ্ছে। আমরা যেকোনো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা বা প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং এসব গবেষণার কাজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, সহযোগী অধ্যাপক ড. শিল্পী রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এবং ব্রাকের পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের খুলনা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিআরসির নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পদ্মাসেতু পরবর্তী প্রভাব সরেজমিনে দেখার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল সফর করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ণ সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশিত সময় : ০১:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

###    সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-এর নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, নতুন প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষকদের গবেষণা মনস্কতা, অর্জন ও অগ্রগতিকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, জলবায়ুগত পরিবর্তন ও  পদ্মাসেতু পরবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের ধারা, উন্নয়ন এবং বিনিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ ও সম্ভাবনার নানা ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিতে পারে। এ অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভানার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দিকনির্দেশনা দেওয়া গেলে এবং সরকার সে ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুললে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তখনই বিনিয়োগে আগ্রহী হবে যখন প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠবে। বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র চিহ্নিত করা এবং পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা এখন জরুরি। তিনি বলেন, মোংলা সামুদ্রিক বন্দরের বিকাশ হচ্ছে, ব্যবহার বাড়ছে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে সন্নিহিত শহর আধুনিকমানের নয়। বিশ্বমানের বন্দরের পাশাপাশি বিশ্বমানের শহর পরিপূরক।বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় নানাদিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিবেশ ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য রয়েছে। জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাব এ অঞ্চলেই বেশি। নানামাত্রিক বিরূপতার মধ্যেও মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে ক্রমাগতভাবে লড়াই করে যাচ্ছে। বিনিয়োগ বা বাণিজ্যিক বিকাশের ক্ষেত্রে সুন্দরবনের সাসটেইনিবিলিটির প্যারামিটারগুলোতে বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়সহ নানামুখী গবেষণা হচ্ছে। আমরা যেকোনো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা বা প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং এসব গবেষণার কাজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, সহযোগী অধ্যাপক ড. শিল্পী রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এবং ব্রাকের পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের খুলনা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিআরসির নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পদ্মাসেতু পরবর্তী প্রভাব সরেজমিনে দেখার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল সফর করেন। ##