![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
### পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী এলাকার মুগডল ক্ষেত থেকে তিন সন্তানের জননীর মৃত দেহ শনিবার সাকল ৭ টায় উদ্ধার করেছে দশমিনা থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী এলাকায় বসবাস করে লাইলি(৪০) ও ফোরকান সিকদার দম্পত্তি। বিবাহের পর থেকে ঝগড়া ফেসাদ লেগেই থাকত। এ নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য শালিস ব্যবস্থা হয়েছে। পরবর্তিতে লাইলি বেগম যৌতুকের অভিযোগ আনায়ন করে গত বছর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাামলা আনায়ন করলে ফোরকান সিকদার বনসই দিয়ে নিয়ে যায়। গত কাল( শুক্র বার) রাতে ঐ দম্পত্তি পাশের বাড়ি চাচত ভাই মঙ্গলার ঘরে দাওয়াত খেতে আসেন। রাতে নিজ বাসায় গিয়া ঘুমাইলে সাকালে এলাকাবাসি লাইলি বেগেমের মরদেহ বাড়ির পাশে মুগ ক্ষেতে দেখতে পায়। দশমিনা থানা পুলিশকে অবহিত করলে দশমিনা থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । ঘটনা স্থল থেকে লাইলির স্বামী ফোরকান সিকদার(৪৫), ফোরকান সিকদারের দ্ধিতীয় স্ত্রী মোমতাজ বেগম(৩৫) এবং ভাইর ছেলে মঙ্গলাা(৩০) কে আটক করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল হাওলাদার বলেন, ফোরকান সিকদার বিবাহের পর থেকে তার স্ত্রী লাইলি বেগম কে বিভিন্ন সময় কারনে অকারনে মারধর ও জ¦ালা যন্তনা দিতো। এ নিয়ে একাধিক বার শালিস ব্যবস্থা করে মিাময়ংসা করে দিয়েছি। তার স্বামী ও সতিন মাইরা মুগ ক্ষেতে ফেলে রাখতে পারে। লাইলির বাবা সামছুল সরদার আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন মেয়ে বিবাহ দেবার পর বিভিন্ন ভাবে জামাই ফোরকান মারধর করতো। শুনছি আমার মেয়ে রাতে পাশের বাড়ি মঙ্গলার ঘরে দাওয়াত খাইছে। এ বিষয়ে মঙ্গলা জানতে পারে। আমার মেয়েকে জামাই ফোরকান ও তার ছোট স্ত্রী মারছে । ফোরকানের বাবা- মা এ বিষয় জানতে পারে। আমার মেয়ের হত্যা কারির বিচার চাই । থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার বিষয় শুনে আমরা ঘটনা স্থলে এসেছি। এলাকাবাসিদের সাথে প্রাথমিক ভাবে কথা বলায় এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পারিবারিক ভাবে অনেক জটিলতা ছিলো যেমন তার স্বামী দ্ধিতীয় বিবাহ সহ বিভিন্ন বিষয় থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ফোরকান, ফোরকানের দ্ধিতীয় স্ত্রী মোমতাজ বেগম ও ফোরকানের সাথে সবসময় থাকে মঙ্গলকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আরো কেহ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।##