০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাকোপের বাণীশান্তার কৃষি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহস্রাধিক কৃষক পরিবারের খোলা চিঠি

###   খুলনার দাকোপের বাণীশান্তা ইউনিয়নের তিনশো একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে সহস্রাধিক কৃষক পরিবারের সদস্যরা খোলা চিঠি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২২সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে বাণীশান্তা-ভোজনখালি সংযোগ সড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পোস্টকার্ডে প্রেরিত খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচি পালন করা হয়। চিঠিতে কৃষকরা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু কৃষিজমিতে ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিকল্প জায়গায় বালু ফেলার দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষাণী পাপিয়া মিস্ত্রী। কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাণীশান্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি রপ্তান। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)-এর কেন্দ্রিয় নেতা মো. নূর আলম শেখ। কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা সঞ্জিব মন্ডল, সিপিবি নেতা বিশ্বজিত মন্ডল, কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিত গাইন, হিরন্ময় রায়, ইউপি সদস্য জয় কুমার মানিক, ইউপি সদস্য জয়ন্ত কুমার গাইন, পীযুষ কুমার রায়, বিজন বিহারী মন্ডল, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, বাপা নেতা ইস্রাফিল বয়াতি, হাছিব সরদার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলা সংসদের সভাপতি সৌরভ সমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র সৌরভ, ছাত্রনেতা প্রীতম সরদার, কৃষক নেতা কৃষ্ণ পদ মন্ডল, কৃষাণী মনষা মন্ডল, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমূখ।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচির সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নিবেন। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তা না করে বিভিন্ন মহলকে উস্কানি দিয়ে ও অপকৌশলের মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। এমতবস্থায় বাণীশান্তার তিনশো একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় ১২শো কৃষক পরিবারের ৫হাজার মানুষের পক্ষ থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বক্তারা আরো বলেন ”উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবেনা” এবং ”এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই আহবানে সাড়াদিয়ে আমরা জীবন দেবো তবুও বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমিতে বালি ফেলতে দেবো না। সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য কৃষাণী পাপিয়া মিস্ত্রি বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক বাণীশান্তার কৃষিজমিতে বালি ফেলার বিরুদ্ধে দাকোপের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জনগন ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দাবি কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অপকৌশল পরিহার করে বিকল্প জায়গায় বালি ফেলে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগী হবে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

দাকোপের বাণীশান্তার কৃষি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহস্রাধিক কৃষক পরিবারের খোলা চিঠি

প্রকাশিত সময় : ০৫:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

###   খুলনার দাকোপের বাণীশান্তা ইউনিয়নের তিনশো একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে সহস্রাধিক কৃষক পরিবারের সদস্যরা খোলা চিঠি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২২সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে বাণীশান্তা-ভোজনখালি সংযোগ সড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পোস্টকার্ডে প্রেরিত খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচি পালন করা হয়। চিঠিতে কৃষকরা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু কৃষিজমিতে ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিকল্প জায়গায় বালু ফেলার দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষাণী পাপিয়া মিস্ত্রী। কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাণীশান্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি রপ্তান। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)-এর কেন্দ্রিয় নেতা মো. নূর আলম শেখ। কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা সঞ্জিব মন্ডল, সিপিবি নেতা বিশ্বজিত মন্ডল, কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিত গাইন, হিরন্ময় রায়, ইউপি সদস্য জয় কুমার মানিক, ইউপি সদস্য জয়ন্ত কুমার গাইন, পীযুষ কুমার রায়, বিজন বিহারী মন্ডল, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, বাপা নেতা ইস্রাফিল বয়াতি, হাছিব সরদার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলা সংসদের সভাপতি সৌরভ সমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র সৌরভ, ছাত্রনেতা প্রীতম সরদার, কৃষক নেতা কৃষ্ণ পদ মন্ডল, কৃষাণী মনষা মন্ডল, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমূখ।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের খোলা চিঠি লেখা ও প্রদর্শন কর্মসুচির সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নিবেন। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তা না করে বিভিন্ন মহলকে উস্কানি দিয়ে ও অপকৌশলের মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। এমতবস্থায় বাণীশান্তার তিনশো একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় ১২শো কৃষক পরিবারের ৫হাজার মানুষের পক্ষ থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বক্তারা আরো বলেন ”উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবেনা” এবং ”এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই আহবানে সাড়াদিয়ে আমরা জীবন দেবো তবুও বাণীশান্তার তিনফসলি কৃষিজমিতে বালি ফেলতে দেবো না। সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য কৃষাণী পাপিয়া মিস্ত্রি বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক বাণীশান্তার কৃষিজমিতে বালি ফেলার বিরুদ্ধে দাকোপের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জনগন ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দাবি কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অপকৌশল পরিহার করে বিকল্প জায়গায় বালি ফেলে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগী হবে।##