![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারে ২০২১ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে, জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দেড় শতাধিক সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা।
বৃহস্পতিবার প্রোগ্রেসিভ কারেন পিপল ফোর্স (পিকেপিএফ) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করা একটি গোষ্ঠী দাবি করে যে, এ বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারের কায়াহতে ১৪৯৯ জন শাসক সেনা নিহত হয়েছে।
মূলত, গতবছর সেনা অভ্যুত্থানের জেরে দেশটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত মে মাস থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কায়াহ রাজ্যে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলি, বিমান ও কামান হামলার খবর পাওয়া গেছে। অঞ্চলটিতে ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ), কারেন আর্মিসহ (কেএ) আরও কয়েকটি সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রোগ্রেসিভ কারেন পিপল ফোর্স (পিকেপিএফ) সংস্থাটির দাবি, গত ১৫ মাসে কায়াহতে ২৬১ জন বেসামরিক লোক এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত আরও ৬১ জন নিহত হয়েছে। জান্তা সরকার বাহিনী গ্রেফতার করেছে আরও ২৬১ জনকে।
কায়াহতে জান্তা সরকার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে যারা যোগ দিচ্ছে, তারা জানিয়েছে, ১৬ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে কায়াহতে কেএনডিএফ, কেএ এবং পিডিএফসহ সম্মিলিত প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে ৬১ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, জান্তা সরকার ওই রাজ্যে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। জান্তা সরকারের এসব সেনাদের প্রতিরোধক গোষ্ঠীগুলোর দাবি, কায়াহ রাজ্যের বেসামরিক নাগরিক ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে তারা।