১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাঁকড়া চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে 

###    খুলনায় খোলশ কাঁকড়া উৎপাদনে পানির গুণাগুন সংরক্ষণ ও পুকুরের পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিসারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও ফোয়াবের যৌথ অর্থায়নে সহযোগিতায় ছিল জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। বাস্তবায়নে ছিল ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ফোয়াব)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল খুলনার প্রেসিডেন্ট শাহ মামুনুর রহমান তুহিন। প্রধান আলোচক ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান। সভাপতিত্ব করেন ফোয়াবের সভাপতি মৎস্য উন্নয়ন ও সমবায় ব্যক্তিত্ব মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)।
প্রধান অতিথি জয়দেব পাল বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাঁকড়া চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখানকার লোক মাছ, ধান ও সবজি চাষ করে পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চিংড়ির চাষ করে রপ্তানিতে মূখ্য ভূমিকা রাখে। আগে এখানে ৮ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লক্ষ টন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সব কিছুর দাম বাড়লেও মাছের দাম কম। পূর্বের সংকট কাটিয়ে বর্তমানে কাঁকড়ার বাজার দর কিছুটা ফিরেছে। বর্তমানে কাঁকড়ার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে গত অর্থ বছরে ৫০ লাখ পোনা উৎপাদন হয়েছে। সরকারিভাবে ২টা হ্যাচারী স্থাপিত হয়েছে। যার একটি কক্সবাজারে ও অন্যটি শ্যামনগরে। এছাড়া বেসরকারিভাবেও কাঁকড়া হ্যাচারী গড়ে উঠেছে। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে সরকার এখাতে ৫ হাজার কোটি টাকা লোন দিচ্ছে। স্বল্পমূল্যে এই কাঁকড়ার চাষ করা যায় বিধায় এটি লাভজনক। খুবই অল্প খরচে একটি কাঁকড়ার খামার গড়ে তোলা যায়। যাদের জায়গা নেই তাদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজন হলে নদীতে খাঁচা করে এর চাষ শুরু করেন। সার্বিক সহযোগিতার আশ^াসও দেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জসিম উদ্দিন। পবিত্র গীতা পাঠ করেন প্রতীভা বিশ^াস। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘোষ, ফোয়াবের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাকিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন শাওন, জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ অনরুদ্ধ বাহাদুর, সদস্য সচিব নাসিরুল্লাহ হীরা, জেলা মৎস্যজীবী লীগের মহিলা নেত্রী বুলু রানী মন্ডল, খুলনা জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মাস্টার শহিদুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ সিকদার, মোশাররফ হোসেন মোল্লা, সঞ্চিতা রায়, শান্তিলতা বালা, মো: শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রান্তিক চাষিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

আগামী জানুয়ারি থেকে মোংলা-যশোর রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাঁকড়া চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে 

প্রকাশিত সময় : ১২:২২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

###    খুলনায় খোলশ কাঁকড়া উৎপাদনে পানির গুণাগুন সংরক্ষণ ও পুকুরের পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিসারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও ফোয়াবের যৌথ অর্থায়নে সহযোগিতায় ছিল জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। বাস্তবায়নে ছিল ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ফোয়াব)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল খুলনার প্রেসিডেন্ট শাহ মামুনুর রহমান তুহিন। প্রধান আলোচক ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান। সভাপতিত্ব করেন ফোয়াবের সভাপতি মৎস্য উন্নয়ন ও সমবায় ব্যক্তিত্ব মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)।
প্রধান অতিথি জয়দেব পাল বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাঁকড়া চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখানকার লোক মাছ, ধান ও সবজি চাষ করে পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চিংড়ির চাষ করে রপ্তানিতে মূখ্য ভূমিকা রাখে। আগে এখানে ৮ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লক্ষ টন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সব কিছুর দাম বাড়লেও মাছের দাম কম। পূর্বের সংকট কাটিয়ে বর্তমানে কাঁকড়ার বাজার দর কিছুটা ফিরেছে। বর্তমানে কাঁকড়ার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে গত অর্থ বছরে ৫০ লাখ পোনা উৎপাদন হয়েছে। সরকারিভাবে ২টা হ্যাচারী স্থাপিত হয়েছে। যার একটি কক্সবাজারে ও অন্যটি শ্যামনগরে। এছাড়া বেসরকারিভাবেও কাঁকড়া হ্যাচারী গড়ে উঠেছে। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে সরকার এখাতে ৫ হাজার কোটি টাকা লোন দিচ্ছে। স্বল্পমূল্যে এই কাঁকড়ার চাষ করা যায় বিধায় এটি লাভজনক। খুবই অল্প খরচে একটি কাঁকড়ার খামার গড়ে তোলা যায়। যাদের জায়গা নেই তাদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজন হলে নদীতে খাঁচা করে এর চাষ শুরু করেন। সার্বিক সহযোগিতার আশ^াসও দেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জসিম উদ্দিন। পবিত্র গীতা পাঠ করেন প্রতীভা বিশ^াস। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘোষ, ফোয়াবের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাকিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন শাওন, জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ অনরুদ্ধ বাহাদুর, সদস্য সচিব নাসিরুল্লাহ হীরা, জেলা মৎস্যজীবী লীগের মহিলা নেত্রী বুলু রানী মন্ডল, খুলনা জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মাস্টার শহিদুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ সিকদার, মোশাররফ হোসেন মোল্লা, সঞ্চিতা রায়, শান্তিলতা বালা, মো: শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রান্তিক চাষিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। ##