খুলনা প্রতিবেদক্। খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা উপজেলায় দুটি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দে্রর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে দেশব্যাপী জেলা—উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে খুলনার দুটি মডেল মসজিদের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত ফুলতলা উপজেলা মডেল মসজিদপ্রান্তে উপস্থিত মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের অভিব্যক্তি শোনেন এবং ফুলতলাবাসীকে অভিনন্দন জানান। এ সময় উপজেলা মডেল মসজিদে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা—৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুহাঃ বশিরুল আলম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহানসহ জেলা—উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক—শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দে্র পরিণত হবে এই মসজিদগুলো। ৪০ শতাংশ জমির ওপর জেলা পর্যায়ে চার তলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা ভবন বিশিষ্ট মসজিদগুলো একই সাথে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। উপজেলা পর্যায়ের মসজিদে নয়শত জন এবং জেলা পর্যায়ের মসজিদে এক হাজার দুইশত জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ মসজিদগুলোয় নারী ও পুরুষের নামাজ আদায় ছাড়াও থাকছে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, লাইব্রেরি, অটিজম কর্ণার, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামি গবেষণা ও দাওয়াহ কার্যক্রম, হেফজখানা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, হজ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। ##