০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হারুনুর রশীদ

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৪৭ পড়েছেন

###    খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শৌর্য বীর্যের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন স্বাধীনতা দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন এটি। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন আজ। অন্য যেকোন দিনের চেয়ে আজকের দিনটি সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বলেন, কোনো দেন দরবার নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা। রক্ত সাগর পেরিয়ে বাঙালি জাতি পৌঁছেছে তার বিজয়ের সোনালী তোরণে। আজ বাংলাদেশের এই মহা বিজয়ের মহানায়ক হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতার অমর কাব্যের এই পংক্তিটি দৃঢ়তায় বলীয়ান করে তোলে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে  জন্ম নেয় একটি নতুন দেশ, সার্ভভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালের মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ১৯৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথান, ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতি ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চুড়ান্ত লক্ষ্যে ঐকবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
রবিবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতা তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীর পরিচালনায় এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ্যাড. রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ সালাম, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামাল জামাল, সরদার আবু সালেহ, খালেদীন রশীদী সুকর্ন, জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, শ্রীমন্ত অধিকারি রাহুল, রকিবুল ইসলাম লাবু, হালিমা ইসলাম, মোল্লা মোজাফফর হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, আজগর বিশ্বাস তারা, জামিল খান, মানিকুজ্জামান অশোক, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ মো: আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, হাজী সাইফুল ইসলাম খান, সরদার জাকির হোসেন, অজিত বিশ্বাস, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, ইমদাদুল ইসলাম, শ্রী জয়, শিউলি বিশ্বাস, হারুন অর রশিদ, তাপস রায়, শারমিন সুলতানা রুনা, আকাশ, মৃনাল,  আরাফাত, পলাশ, লিপি, নাজমুল, শিমুল, জুয়েল সরদার, আবির, হৃদয় প্রমূখ।
এর আগে ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের পরপরই ভোর সাড়ে ৬টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এসময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. জনাব সুজিত অধিকারির নেতৃত্বে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হারুনুর রশীদ

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

###    খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শৌর্য বীর্যের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন স্বাধীনতা দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন এটি। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন আজ। অন্য যেকোন দিনের চেয়ে আজকের দিনটি সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বলেন, কোনো দেন দরবার নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে স্বাধীনতা। রক্ত সাগর পেরিয়ে বাঙালি জাতি পৌঁছেছে তার বিজয়ের সোনালী তোরণে। আজ বাংলাদেশের এই মহা বিজয়ের মহানায়ক হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতার অমর কাব্যের এই পংক্তিটি দৃঢ়তায় বলীয়ান করে তোলে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে  জন্ম নেয় একটি নতুন দেশ, সার্ভভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালের মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ১৯৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথান, ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতি ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চুড়ান্ত লক্ষ্যে ঐকবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
রবিবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতা তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীর পরিচালনায় এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ্যাড. রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ সালাম, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামাল জামাল, সরদার আবু সালেহ, খালেদীন রশীদী সুকর্ন, জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, শ্রীমন্ত অধিকারি রাহুল, রকিবুল ইসলাম লাবু, হালিমা ইসলাম, মোল্লা মোজাফফর হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, আজগর বিশ্বাস তারা, জামিল খান, মানিকুজ্জামান অশোক, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ মো: আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, হাজী সাইফুল ইসলাম খান, সরদার জাকির হোসেন, অজিত বিশ্বাস, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, ইমদাদুল ইসলাম, শ্রী জয়, শিউলি বিশ্বাস, হারুন অর রশিদ, তাপস রায়, শারমিন সুলতানা রুনা, আকাশ, মৃনাল,  আরাফাত, পলাশ, লিপি, নাজমুল, শিমুল, জুয়েল সরদার, আবির, হৃদয় প্রমূখ।
এর আগে ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের পরপরই ভোর সাড়ে ৬টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এসময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. জনাব সুজিত অধিকারির নেতৃত্বে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##