০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খুলনায় ইউসেপ বাংলাদের সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান :

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ইউসেপ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী : এসএম কামাল এমপি

####

ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে ইউসেপ বাংলাদেশের ৫০বছর পূর্তি বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, বিজ্ঞান মেলা, ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ম্যধ দিয়ে সূবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। দিনের শুরুতেই ইউসেপ খুলনার বৈকালিস্থ ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে সরকারি মহিলা কলেজে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসেপে বোর্ড অব গভর্ণরসের সাবেক ভাইস চেয়ারপার্সন ও ইউসেপ এসোসিয়েশনের সদস্য জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক। প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ইউসেপ খুলনার ক্যাম্পাস। অথিদের অনেকেই প্রাণের প্রতিষ্ঠানে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে এবং দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উপভোগ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউসেপ বোর্ড অব গভর্ণরসের সদস্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। এছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরিফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর কে.এম. তৌহিদুর রহমান, ইউসেপের পরিচালক ফাইন্যান্স ও কমপ্লাইন্স নাজমুন নাহারসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য ইউসেপ বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তিনি ইউসেপ এর বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’ সভাপতি জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক বলেন, ‘ বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র চাকুরির প্রতি নির্ভরশীল হলে হবে না, শিল্প উদ্যোক্তা হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এ্যালান চেইনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ইউসেপ বাংলাদেশ পূরণ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ইউসেপ বাংলাদেশকে বাড়ী দান করে এর অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ইউসেপ সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে ইউসেপ বাংলাদেশ চাকুরির সুযোগ করে দিচ্ছে। তারপেরও শুধুমাত্র চাকুরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে তিনি উদ্যেক্তা হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। ইউসেপের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে প্রবেশ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।’ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্র্থীদের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘হৃদয়ে ইউসেপ’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ইউসেপ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক লিন্ডসে এ্যালান চেইনীর উদ্যোগে একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংসথা হিসেবে ১৯৭২ সালে আত্মপ্রকাশ করে । কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে তাদের দারিদ্র বিমোচনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউসেপ বাংলাদেশ । মাত্র ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে ইউসেপের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যেগে ৩৬টি টেকনিক্যাল স্কুল,১০টি টিভেট ইনস্টিটিউট, ০২ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৩টি প্রফেসনাল ইনস্টিটিউট মাধ্যমে প্রতি বছর ৩৫ হাজার ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করে চলেছে এবং এর মধ্যে ৮০% কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে । একটি দেশ গঠনের জন্য দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ইউসেপ বাংলাদেশ সুদীর্ঘ ৫২ বছর ধরে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার জনশক্তিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চায়, যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের যেকোনো জায়গায় প্রতিযোগিতা করতে পারে। আমরা মনে করি ইউসেপ বাংলাদেশ বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কর্মের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং একইসাথে চাকুরি বা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা নিলে তরুণরা প্রশিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত স্বাবলম্বী হবে। এতে দেশ জনমিতিক সুফল (Demographic Dividend) অর্জনে স্বক্ষম হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

খুলনায় ইউসেপ বাংলাদের সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান :

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ইউসেপ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী : এসএম কামাল এমপি

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

####

ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে ইউসেপ বাংলাদেশের ৫০বছর পূর্তি বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, বিজ্ঞান মেলা, ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ম্যধ দিয়ে সূবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। দিনের শুরুতেই ইউসেপ খুলনার বৈকালিস্থ ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে সরকারি মহিলা কলেজে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসেপে বোর্ড অব গভর্ণরসের সাবেক ভাইস চেয়ারপার্সন ও ইউসেপ এসোসিয়েশনের সদস্য জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক। প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ইউসেপ খুলনার ক্যাম্পাস। অথিদের অনেকেই প্রাণের প্রতিষ্ঠানে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে এবং দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উপভোগ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউসেপ বোর্ড অব গভর্ণরসের সদস্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। এছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরিফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর কে.এম. তৌহিদুর রহমান, ইউসেপের পরিচালক ফাইন্যান্স ও কমপ্লাইন্স নাজমুন নাহারসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসেপ খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য ইউসেপ বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তিনি ইউসেপ এর বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’ সভাপতি জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক বলেন, ‘ বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র চাকুরির প্রতি নির্ভরশীল হলে হবে না, শিল্প উদ্যোক্তা হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এ্যালান চেইনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ইউসেপ বাংলাদেশ পূরণ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ইউসেপ বাংলাদেশকে বাড়ী দান করে এর অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ইউসেপ সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে ইউসেপ বাংলাদেশ চাকুরির সুযোগ করে দিচ্ছে। তারপেরও শুধুমাত্র চাকুরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে তিনি উদ্যেক্তা হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। ইউসেপের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে প্রবেশ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।’ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্র্থীদের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘হৃদয়ে ইউসেপ’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ইউসেপ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক লিন্ডসে এ্যালান চেইনীর উদ্যোগে একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংসথা হিসেবে ১৯৭২ সালে আত্মপ্রকাশ করে । কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে তাদের দারিদ্র বিমোচনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউসেপ বাংলাদেশ । মাত্র ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে ইউসেপের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যেগে ৩৬টি টেকনিক্যাল স্কুল,১০টি টিভেট ইনস্টিটিউট, ০২ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৩টি প্রফেসনাল ইনস্টিটিউট মাধ্যমে প্রতি বছর ৩৫ হাজার ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করে চলেছে এবং এর মধ্যে ৮০% কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে । একটি দেশ গঠনের জন্য দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ইউসেপ বাংলাদেশ সুদীর্ঘ ৫২ বছর ধরে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার জনশক্তিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চায়, যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের যেকোনো জায়গায় প্রতিযোগিতা করতে পারে। আমরা মনে করি ইউসেপ বাংলাদেশ বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কর্মের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং একইসাথে চাকুরি বা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা নিলে তরুণরা প্রশিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত স্বাবলম্বী হবে। এতে দেশ জনমিতিক সুফল (Demographic Dividend) অর্জনে স্বক্ষম হবে।