১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বটিয়াঘাটায় গনধর্ষণের মূলহোতাসহ গ্রেফতার-২

####

বটিয়াঘাটায় গনধর্ষণের মূলহোতাসহ দুইনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার র্যাব-৬ খলনার একটি টিম গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বার এলাকা থেকে গনধর্ষণের মূলহোতা বটিয়াঘাটার কল্যাণশ্রী গ্রামের আমের আলী গোলদারের ছেলে নাজমুল গোলদারকে ও তার সহযোগী রায়পুর গ্রামের গফুর শেখের ছেলে রাসেল শেখকে ডুমুরিয়া থেকে গ্রেফতার করে।এই মামলার অপর আসামী ভগবতীপুর গ্রামের হরিদাস সরকারের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় সরকারকে গত ১৭ নভেম্বর বরিশালের নতুন বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

র্যাব জানায়, ১বছর আগে গণধর্ষণ মামলার মূল হোতা নাজমুল গোলদারের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর নাজমুলের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।এরই ধারাবাহিকতায় নাজমুল গোলদার গত ২৩অক্টোবর ভিকটিমকে কনসার্ট এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যায়।পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে কৌশলে বটিয়াঘাটা থানার ভগবতীপুর গ্রামস্থ কেঁচুরাবাদ সুইচ গেটের পাশে ঘেরের পাশে ভদ্রা নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই নাজমুল গোলদার তার অন্যান্য বন্ধুদেরকে নিয়ে আসে। পরে নাজমুল ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন ধরনের অশ্লিল আচরন করলে ভিকটিম না করার জন্য অনুরোধ করে।ভিকটিম তার মোবাইল থেকে পরিচিত ব্যক্তিদের নিকট ফোন করার চেষ্টা করলে নাজমুল গোলদার তার ফোন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমের কোন না শুনে নাজমূলসহ  রাসেল শেখ, মৃত্যুঞ্জয় সরকার,  মোঃ রুবেল শেখ, জুয়েল সরদার এবং আশিক পালাক্রমে ভিকটিমকে জোর করে গনধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। ভিকটিম লোক-লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় গনধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ঘটনা জানতে পেরে র্যাব-৬ সদর কোম্পানি খুলনার একটি দল গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত অভিযানে আসামীদেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ গনধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এ্যাম্বুলেন্স অকেজো, চরম দূর্ভোগে রোগীরা

বটিয়াঘাটায় গনধর্ষণের মূলহোতাসহ গ্রেফতার-২

প্রকাশিত সময় : ০৮:১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

####

বটিয়াঘাটায় গনধর্ষণের মূলহোতাসহ দুইনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার র্যাব-৬ খলনার একটি টিম গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বার এলাকা থেকে গনধর্ষণের মূলহোতা বটিয়াঘাটার কল্যাণশ্রী গ্রামের আমের আলী গোলদারের ছেলে নাজমুল গোলদারকে ও তার সহযোগী রায়পুর গ্রামের গফুর শেখের ছেলে রাসেল শেখকে ডুমুরিয়া থেকে গ্রেফতার করে।এই মামলার অপর আসামী ভগবতীপুর গ্রামের হরিদাস সরকারের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় সরকারকে গত ১৭ নভেম্বর বরিশালের নতুন বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

র্যাব জানায়, ১বছর আগে গণধর্ষণ মামলার মূল হোতা নাজমুল গোলদারের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর নাজমুলের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।এরই ধারাবাহিকতায় নাজমুল গোলদার গত ২৩অক্টোবর ভিকটিমকে কনসার্ট এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যায়।পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে কৌশলে বটিয়াঘাটা থানার ভগবতীপুর গ্রামস্থ কেঁচুরাবাদ সুইচ গেটের পাশে ঘেরের পাশে ভদ্রা নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই নাজমুল গোলদার তার অন্যান্য বন্ধুদেরকে নিয়ে আসে। পরে নাজমুল ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন ধরনের অশ্লিল আচরন করলে ভিকটিম না করার জন্য অনুরোধ করে।ভিকটিম তার মোবাইল থেকে পরিচিত ব্যক্তিদের নিকট ফোন করার চেষ্টা করলে নাজমুল গোলদার তার ফোন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমের কোন না শুনে নাজমূলসহ  রাসেল শেখ, মৃত্যুঞ্জয় সরকার,  মোঃ রুবেল শেখ, জুয়েল সরদার এবং আশিক পালাক্রমে ভিকটিমকে জোর করে গনধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। ভিকটিম লোক-লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় গনধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ঘটনা জানতে পেরে র্যাব-৬ সদর কোম্পানি খুলনার একটি দল গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত অভিযানে আসামীদেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ গনধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।