![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
### বরিশাল-ভোলা নৌ রুটে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের কারনে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। চালকদের দাবী স্পিডবোট মালিকরা জোর করে স্পিডবোট চালাচ্ছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায়, বরিশাল ডিসি ঘাট থেকে একটি স্পিডবোট ৯ জন যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্য রওনা হয়। বছর খানেক আগে রাতের বেলায় ভোলা থেকে বরিশালে আসার সময় ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় কবির সিকদারের স্পিডবোট। সেই ঘটনায় এক ডাক্তারসহ কয়েক যাত্রী মারা যাওয়ায় বন্ধ হয়েছিল রাতে স্পিডবোট চলাচল। তবে কিছুদিন যেতেই আবারও সচল রাতের যাত্রীবাহী স্পিডবোট। কোনো ধরনের লাইট কিংবা সিগনাল বাতি ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে রাতের আঁধারে চলাচল করছে দ্রুত গতির স্পিডবোটগুলো। এতে করে যেকোনো সময় আবারও ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর না দিলে ভোলা-বরিশাল নৌরুট অরক্ষিত রয়ে যাবে। এদিকে রাতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও গুনতে হচ্ছে দিনের বেলার চেয়ে বাড়তি ভাড়া, এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের। সরজমিনে দেখা যায়, বরিশাল ডিসি ঘাট থেকে ভেদুরিয়া ঘাট দিনের বেলা আটজন যাত্রী নিয়ে যায় জনপ্রতি ৩৫০ টাকা করে। তবে সন্ধ্যা হলেই ১০ থেকে ১১ জন যাত্রী নেয় এবং জনপতি ৪০০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। বাড়তি টাকা নেওয়ার কারণ জানালেন স্পিডবোট চালক ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুই ঘাটের নেতাদের ম্যানেজ করেই রাতে চলাচল করা হয়। তাই আমরা রাতে ভাড়া বেশি নেই।’ রাতের আঁধারে লাইট ছাড়া স্পিডবোট চালান এমন প্রশ্নের জবাবে চালক ইব্রাহিম বলেন, ‘আমাদের লাইট লাগে না অনুমানের উপরেই চলাচল করি।’ সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলাচল করে এই যাত্রীবাহী বোটগুলো। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় হরহামেশা চলছে স্পিডবোট। ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বরিশালে আসা যাত্রী মঠবাড়িয়ার দধিভাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ বিল্লাল আরিফ বলেন, ‘মঙ্গলবার জরুরি একটা কাজে ভোলা যাই। ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। স্পিডবোট ছাড়ার পর বুঝতে পারি যে চালকের কাছে কোনো ধরনের লাইট নেই, শুধুমাত্র অনুমানের উপর স্পিডবোট চালাচ্ছেন চালক। এতে অনেকটা আতংকিত হই।’ বোটের আরেক যাত্রী বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউর বাসিন্দা সৈয়দ নেওয়াজ আহমেদ পলাশ বলেন, ‘দিনের বেলা আটজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও সন্ধ্যা হলেই ১০ থেকে ১১ জন যাত্রী নেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিনের বেলা ৩৫০ টাকা নিলেও রাতে নেয় ৪০০ করে।’ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর ট্রাফিক কর্মকর্তা কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্পিডবোট চলাচলের জন্য দিনের বেলা নির্ধারিত তারপরও কিছু লোক গোপনে রাতের আঁধারে চলাচল করছে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও নিয়ম বিরোধী।’তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর না থাকলে দুর্ঘটনা বাড়বেই।’এ বিষয় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা সাফিউল কিঞ্জল বলেন, ‘রাতের বেলা স্পিডবোট চলাচল নিষেধ, তারপরও গোপনে কিছু চালক যাত্রী পারাপার করেন। তবে আমাদের নিয়মিত টহল চলমান আছে।##