
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র থেকে বয়ে গেছে আন্তঃ জেলা সড়ক।
দাড়িয়াল ইউনিয়নের কাটাদিয়া ফেরিঘাট পার হয়ে সড়কটির এক প্রান্ত মিশেছে বরিশাল জেলা শহরের সঙ্গে। অপর প্রান্ত কাটাদিয়া ফেরিঘাট হয়ে কামারখালী বাজার এর মধ্য দিয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে।
জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মিয়া বাড়ি সংলগ্ন এক পাশ ভেঙ্গে খালের মধ্যে চলে গেছে। ফলে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এদিকে সড়ক সংস্কারে কার্যকারী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবাই আন্তঃ জেলা সড়কটি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সরসী হয়ে গোমা ফেরিঘাট ও কবাই ইউনিয়নের পিয়ারপুর হয়ে উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। অপর প্রান্ত পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মিয়া বাড়ির স্কুল, দাড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাড়িয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হযরত আলী ডিগ্রী কলেজসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করেন।
সড়কে বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির প্রায় ৩ কিলোমিটা খালাখন্দে ভরা। বিভিন্ন স্থানে পিস ও ইট উঠে গিয়ে কাঁচা রাস্তার পরিণত হয়েছে।
পিচ ঢালাইয়ের সড়কটির অধিকাংশ ধ্বসে গেছে। ধ্বসে যাওয়ায় সড়কে দিয়ে ভারী কোন
যানবাহন চলাচল করতে পারে না। দুই উপজেলার ১০ ইউনিয়নের লাখ লাখ পথচারীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার করা না হলে ভাঙ্গনের অংশ পুরোপুরি খালের মধ্যে চলে যাবে। বর্ষা মৌসুমে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
অটোরিকশা চালক রাসেল হাওলাদার বলেন, প্রায় প্রায়ই এই সড়কে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে আর এই দুর্ঘটনার ভয়ে যাত্রীরা সহজে পরিবহনে উঠতে চায় না। এদিকে আবার এরকম রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে কোনরকম সুবিধা পাওয়া যায় না অনেক সময় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সড়কের এই অবস্থার কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই সড়কটি দ্রুত সংস্থার না করলে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, মিয়া বাড়ির সংলগ্ন সড়কের ভাঙনের মুখে সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল সহ নানা যানবাহন প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা
করেন তারা।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, পল্লী সড়ক কালভার্ট মেরামত
কর্মসূচির একটি প্রকল্পে এই বছর দেয়া হবে।