
### বরিশালের বাকেরগঞ্জে খবির হাওলাদার নামে এক কথিত কাজীকে অপহরন করা হয়েছে। অপহরনের পর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মনির ও এএসআই হাফিজসহ দুইজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার সময় বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকার মহিউদ্দীন রানাসহ ১০-১২ জন খবির হাওলাদারকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার থেকে অপহরণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। ঘটনাটি বাকেরগঞ্জ থানায় জানালে এসআই মনির ও এএসআই হাফিজ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জানতে পারেন অপহরনকারীরা খবিরকে নিয়ে বরিশালে কাছাকাছি অবস্থান করছে। তখন পুলিশের ওই দুই অফিসার সাদা পোষাকে খবিরকে উদ্ধার করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইলে অপহরণকারীদের মারধরের ভিডিও ধারণ করতে গেলে অপহরণকারীরা ওই দুই পুলিশ অফিসারকে মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অপহৃত খবির হাওলাদারসহ দুই পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন রনির সাথে নলছিটি থানার চৌদ্দপুরিয়া গ্রামের একটি মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তারই জের ধরে গত এক মাস আগে ওই মেয়ে রনিকে তার এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর ওই মেয়ে বোয়ালিয়া এলাকার কথিত কাজী খবির হাওলাদার সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে দেড় লক্ষ টাকা দেনমোহরে রনির সাথে বিবাহ পরায়। অথচ রনি বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। কথিত কাজী খবির হাওলাদারের সহায়তায় জোর করে ওই মেয়ের সাথে বিবাহ পরানোর কারনেই রনিরা তাকে অপহরন করেছে বলে একটি গোপন সুত্র জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জন অপহরনকারী মহিউদ্দিন রনি, ফিরোজ আলম ও সোহাগকে আটক এবং বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে যাহার মামলা নং ৭।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন অপহরনের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহৃতকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ##