০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জে ১২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলির দুর্নীতি অনিয়ম

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রিশবপুর ইউনিয়নের ১২৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের বিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতির শেষনেই অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের ।সরজমিনে গিয়ে জানাযায় অঞ্জলি দেবনাথ ১২৬ নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব  রয়েছেন। এই সুযোগে তিনি ইস্কুলের গাছ রেজুলেশন না করে গোপনে বিক্রি, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নতুন ব‌ই দিয়ে পুরাতন ব‌ই ফেরত নিয় উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা না দিয়ে হকারের কাছ বিক্রয়  করেন, দুই টি শ্রেনীকক্ষ গোডাউন ঘরে পরিনত করেছন সুপারি নারিকেল মজুত করে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে হচ্ছে অসুবিধা। বছরে ইস্কুল সংস্কারের নামে যে অর্থ আসে তা ইস্কুল সংস্কারের নাগিয়ে প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের  সংস্কারের , নামে আছে কাযে নেই বঙ্গবন্ধু কর্নার ,বঙ্গবন্ধু কর্নারের নামে আসা বরাদ্দ প্রধান শিক্ষকের পেটে। এছাড়াও পাওয়া যায় বিদ্যালয়ে রেগুলার না আসার অভিযোগ, দপ্তরি কাম  নৈশপ্রহরীর বশিরের নিকট প্রধান  শিক্ষিকা অঞ্জলি রানী দেবনাথ এর ইস্কুলের নিয়মিত না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি তাদের পরিবারে ওয়ারিশদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ থানা কোর্ট কাচারি ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করেন ,এ কারণে হয়তোবা তিনি নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না ।দপ্তরি বশিরের সাথে সহমত পোষন করেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উক্ত বিদ্যালয় দুই তিন জন শিক্ষক‌ও । অঞ্জলি দেবনাথের বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ সাহেবর নিকট জানতে চেয়ে একাধিক বার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই। পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক এটিও অফিসার আখতারুজ্জামানরে কাছে প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি ।অভিযোগ করলে আমি আমাদের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম স্যারকে বিষয়টি অবহিত করবো, পরে স্যারকি ব্যবস্থা নিবেন সেটা স্যারের ব্যাপার । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম স্যারকে অঞ্জলি দেবনাথের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানালে তিনি বলেন এ ধরনের যদি কোন ঘটনা ঘটে তার যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অঞ্জলি দেবনাথের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দপ্তরী বশিরের কাছ থেকে যানার পর অঞ্জলি দেবনাথের ওয়ারিশের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে শুনে, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বাবুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি জানি আমি কয়েক বার সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তরুণ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী অঞ্জলি দেবনাথ সালিশ বিচার আপসংশা মানেন না। অঞ্জলি দেবনাথ ও তার স্বামী তরুণ ভট্টাচার্য,পুত্র তপন ভট্টাচার্য নামে একাধিক অভিযোগ আমার পরিষদে ও থানায় রয়েছে। এদিকে অনেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ বলেন বিদ্যালয় অনিয়ম দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা আমাদের দরকার নেই।তার কাছ থেকে আমাদের শিশুরা ভালো কিছু শিখবে তা মনে হয় না। আমার প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

বাকেরগঞ্জে ১২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলির দুর্নীতি অনিয়ম

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রিশবপুর ইউনিয়নের ১২৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের বিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতির শেষনেই অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের ।সরজমিনে গিয়ে জানাযায় অঞ্জলি দেবনাথ ১২৬ নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব  রয়েছেন। এই সুযোগে তিনি ইস্কুলের গাছ রেজুলেশন না করে গোপনে বিক্রি, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নতুন ব‌ই দিয়ে পুরাতন ব‌ই ফেরত নিয় উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা না দিয়ে হকারের কাছ বিক্রয়  করেন, দুই টি শ্রেনীকক্ষ গোডাউন ঘরে পরিনত করেছন সুপারি নারিকেল মজুত করে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে হচ্ছে অসুবিধা। বছরে ইস্কুল সংস্কারের নামে যে অর্থ আসে তা ইস্কুল সংস্কারের নাগিয়ে প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের  সংস্কারের , নামে আছে কাযে নেই বঙ্গবন্ধু কর্নার ,বঙ্গবন্ধু কর্নারের নামে আসা বরাদ্দ প্রধান শিক্ষকের পেটে। এছাড়াও পাওয়া যায় বিদ্যালয়ে রেগুলার না আসার অভিযোগ, দপ্তরি কাম  নৈশপ্রহরীর বশিরের নিকট প্রধান  শিক্ষিকা অঞ্জলি রানী দেবনাথ এর ইস্কুলের নিয়মিত না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি তাদের পরিবারে ওয়ারিশদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ থানা কোর্ট কাচারি ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করেন ,এ কারণে হয়তোবা তিনি নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না ।দপ্তরি বশিরের সাথে সহমত পোষন করেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উক্ত বিদ্যালয় দুই তিন জন শিক্ষক‌ও । অঞ্জলি দেবনাথের বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ সাহেবর নিকট জানতে চেয়ে একাধিক বার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই। পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক এটিও অফিসার আখতারুজ্জামানরে কাছে প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি ।অভিযোগ করলে আমি আমাদের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম স্যারকে বিষয়টি অবহিত করবো, পরে স্যারকি ব্যবস্থা নিবেন সেটা স্যারের ব্যাপার । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম স্যারকে অঞ্জলি দেবনাথের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানালে তিনি বলেন এ ধরনের যদি কোন ঘটনা ঘটে তার যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অঞ্জলি দেবনাথের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দপ্তরী বশিরের কাছ থেকে যানার পর অঞ্জলি দেবনাথের ওয়ারিশের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে শুনে, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বাবুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি জানি আমি কয়েক বার সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তরুণ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী অঞ্জলি দেবনাথ সালিশ বিচার আপসংশা মানেন না। অঞ্জলি দেবনাথ ও তার স্বামী তরুণ ভট্টাচার্য,পুত্র তপন ভট্টাচার্য নামে একাধিক অভিযোগ আমার পরিষদে ও থানায় রয়েছে। এদিকে অনেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ বলেন বিদ্যালয় অনিয়ম দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা আমাদের দরকার নেই।তার কাছ থেকে আমাদের শিশুরা ভালো কিছু শিখবে তা মনে হয় না। আমার প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবনাথের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।