
### সারাদেশে বাগেরহাট নারকেলের জন্য ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এখন তা বিলুপ্তির পথে। বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া ও চিতলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের উৎপাদিত নারকেল এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। পরিবেশগত কারণে ও শহরায়নের ফলে নারকেল গাছ নষ্ঠ হওয়া এবং ফলন কস হওয়ায এ অঞ্চলের মানুষদের নারকেল কিনতে হচ্ছে ৩/৪ গুন বেশী দামে। এমনকি অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে । উৎপাদনের তুলনায় ফলন কম হওয়ায় নারকেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ ফসল উৎপাদনে চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা ও কৃষি প্রণোদনা দেয়া না হলে এ অর্থকারী ফসল বিলুপ্তি হওয়ার আশংকায় এ অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয় নারকেল বাগান মালিক মো: আবুল হোসেন হাওলাদার জানান, আগের তুলনায় এখন গাছে তেমন একটা ফলন হয় না। তাছাড়া কারনে-অকারনে অনেক গাছ কেটে ফেলা, মরে যাওয়া বা আগের মত ফলন না ধরায় নারকেল গাছের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ থাকছে না চাষিদের।এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ও এ চাষকে টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ হতে নারকেল চাষিদের চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাসহ বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার বিতরণ কমৃসুচি গ্রহনের কথা জানালেন বাগান মালিকরা।
সদর উপজেলার চুলকাটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। রবিবার ও বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। এই বাজারে খানপুর রাখালগাছি বেতাগা শুভদিয়া পিলজংগ, রুপসা রামপাল ও মোংলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে নারকেল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। এখানে প্রতি হাটের ১০/১২হাজার নারকেল ক্রয়-বিক্রয় হয়। এসব নারকেল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। কয়েক’শ ব্যবসায়ী এই এ থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
স্থানীয় নারকেল ব্যবসায়ী, তুষার বসুসহ একাধিক ব্যবসাযিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এখান থেকে নারকেল ক্রয় করে দিনাজপুর নাটোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করে থাকেন। আগে যে নারকেল ৫০/৬০টাকা জোড়া বিক্রয় করা হতো তা এখন বিক্রয় করা হচ্ছে ১৬০/১৬৫ টাকায়। নারকেল গাছ বিভিন্ন কারনে মরে যাওয়া বা ফল না ধরায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাগেরহাটের নারকেলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্থানীয় চাষিদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে পারলে আবারও এঅঞ্চলের ঐতিহ্য ফিরে আসতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। ##