![](https://dainikmadhumati.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
### বাগেরহাটে মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের এক কথিত চিকিৎসককে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে নিয়মবর্র্হিভুতভাবে পাইলস ও পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশন করার অপরাধে এই দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন। সেই সাথে আরওও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে। এসময়, বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন। দন্ডাদেশপ্রাপ্ত মোঃ দেলোয়ার হোসেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট শহরের রেলরোড ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে চেম্বার নিয়ে পাইলস, অর্শ, ভগন্দার, গেজ ও নাকের মধ্যে পলিপাসের চিকিৎসা করতেন। এর আগেও একবার ভ্রাম্যমান আদালতের সাজার মুখে পড়েছিলেন কথিত চিকিৎসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তখন তিনি এই ধরণের চিকিৎসা না করার জন্য মুচলেকা দিয়েছিলেন। এরপরেও তিনি একই ধরণের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রোহান সরকার বলেন, পল্লী চিকিৎকের সনদ নিয়ে মোঃ দেলোয়ার হোসেন বেশ কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় চেম্বার খুলে পাইলস ও পলিপাসের অপারেশনসহ বেশকিছু জটিল চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এর আগেও অভিযান চালিয়ে তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকেন। অপারেশন করার মত কোন চিকিৎসা বিষয়ক ডিগ্রি ও দক্ষতা কোনটাই তার ছিল না। যার ফলে তার কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া ব্যাক্তিদের জীবনের ঝুকি তৈরি হত। এই অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, অপারেশনের জন্য চিকিৎসা বিষয়ক যেসব ডিগ্রির প্রয়োজন হয়। তার কোনটাই নেই মোঃ দেলোয়ার হোসেনের। এমনকি অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নেই তার। তার চিকিৎসা ব্যবস্থা কোনটাই বিজ্ঞান সম্মত নয়। এই চিকিৎসার ফলে মানুষের জীবনের ঝুকি তৈরি হত। ভুয়া চিকিৎসকদের গ্যরান্টিসহ চিকিৎসা, বিফলে মূল্য ফেরত এমন চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে, রোগীদের সরকারি হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই মেডিকেল অফিসার। ##