
বাগেরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্বে অনিয়ম,দুনিতী ও অর্থ আত্বসাথ এর অভিযোগ এনে আদালতে মামলা : ধামা চাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দেনদরবারের চেষ্টা
বাগেরহাটে এবার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে বিজ্ঞ অতি: চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ।মামলা নং ৯২/২২ বিজ্ঞ আদালত পিবি আইকে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার অভিযোগ ও স্কুলের আভ্যন্তরীন অডিট রিপোটে জানাগেছে, বাগেরহাট সদরের কে,জে,এস,পি,ইউঃ স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার পাল গত ২৭,০৮,২০১৯ তারিখ নিয়োগ বহিভুত ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা সত্তেও একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচীব করে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে অসাদুপায়ে প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে অব্যবস্থাপনা অনিয়ম ও দুনিতী করে আসছেন।তিনি নিয়ম বহিভুত ভাবে এমপি ও নীতিমালা বহিভুত ভাবে একজন নৈশ প্রহরীকে শুন্যপদ দেখিয়ে গত ০২/০৯/২০ তারিখ প্রতিবেশী সাদ্দাম নামে এজনের কাছ থেকে ৪লক্ষ টাকা উৎকোস নিয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে নিয়োগদেন যা পুর্বে কখনোই এপদে নিয়োগ প্রাপ্ত ছিলোনা বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন নৈশ প্রহরী সাদ্দামের অনলাইনে বেতনের আবেদন করলে ডি ডি পি আই হতে স্ট্যাপিং প্যাটার্ন অনুযায়ী প্রাপ্যতা নাই বলে বিদ্যালয়ে ফেরৎ আসে।পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার পাল নৈশ প্রহরীর বিপরীতে পদ সমন্বয় করে নিরাপত্তা কমি পদে গত ২২,২২,২০ তারিখ ০৯/৪২০/২০২০ একটি রেজুলেশন করে আবারো নিয়ম বহিভুত ভাবে নিয়োগ পত্র দিয়েছেণ।যাহা এমপি ও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বুদ্বি প্রাপ্ত নতুন পদ এ পরিপত্র মোতাবেক ২০২১-২০২২ অর্থ বছওে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।যার স্বারক নং ৩৭,৭৪,২০১৭ (অংশ -১) ১৪৬ তারিখ ৩০/০৫/২০১৯। কে জে এস পি,ইউঃ স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক নলিনী রঞ্জন পাল ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন,প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কারের কাজ না করেই ৪০ হাজার টাকা আত্বসার্থ করেছেন,তিনি বলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর করা ছাড়া কোনো কাজ নেই।তিনি ছাত্র ছাত্রী ভর্তির আইডি ও পাসওয়ার্ড পাওয়া সত্বে ও প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেনীর রিকুইজিশন প্রদান করেন নাই ফলে বিদ্যালয়ে ৩০/১২/২০২১ পর্যন্ত মেয়দ থাকলে ও ছাত্র ছাত্রীদের এখনো ভর্তি করা সম্ভব হয় নাই।প্রধান শিক্ষক যোগদানের পরে এপর্যন্ত বিদ্যালয়ে কোনো কমর্ পরিকল্পনা মিটিং করে কার্য সম্পাদন করেন নাই।যে কারনে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলায় নির্বাচিত শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে ও আজ এই প্রতিষ্ঠানটি ধংশের দ্বার প্রান্তে এসে পৌছেছে।বিদ্যিালয়ের সহকারী শিক্ষক ¯িœগ্ধা রানী পাল জানান, আমরা শিক্ষকরা ওনার কাছে নিরাপত্তা বোধ করিনা কারন উনি বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে খুভ খারাপ আচরন করেন।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রধান শিক্ষক স্যার নিয়মিত স্কুলে আসে না সকাল ১১ টায় আসে আর ১২ টায় চলে যায় কোন ক্লাস ও তিনি নেন না। আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরন করে।মামলার বাদী আজাহের শেখ এপ্রতিনিধিকে বলেন,আমার পুত্র সাদ্দামের চাকুরীর জন্য আনন্দ স্যারের কথায় বিশ্বাস করে গত ২৯/০৮/২০২০ তারিখ স্বাক্ষী মোতালেব ও ছত্তার শেখকে সাথে নিয়ে স্কুলে গিয়ে হেড স্যারের হাতে ৪লক্ষ টাকা দিয়েছি।যাহা এখনো আমার লাভ টানতে হচ্ছে। আমার টাকা ফেরৎসহ আমি হেড স্যারের বিচার চাই।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ মো: সোহাগ জানান,ইতিপুর্বে বিদ্যালয়ে ৫সদস্য বিশিষ্ঠ একটি অভ্যন্তরীন অডিটে রিপোটে ব্যাংকের অনিয়ম ক্যাশ বই,চেকরেজিষ্টার প্রত্যয়ন করা হয় নাই।ক্যাশ বইতে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর নাই,বিল ভাউচার ছাড়া টাকা উত্তোলন,এফ ডি আর এর সর্ব শেষ হিসাব পাওয়া যায় নাই,ক্যাশ রেজিষ্টার লিপিবদ্ব করা হয় নাই,খরচ ভাউচারে কোনো ক্রমিক নং ও ক্যাশ বইতে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর নাই, বিভিন্ন মাসে যাতায়াত ভ্রমন অসংগতি,বিদ্যালয়ে ঘর ভাড়া আদায়ে অনিয়মসহ ২১ টি সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসকল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন মহরে দেন দরবার চালাচ্ছেন।তবে এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি সিদ্বান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তপক্ষকে অবগত করবেন বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার পালের সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, গত (১৪,০৯,২২) বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে আমাকে কতিপয় সহকারী শিক্ষক মারধর করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছেন বলে জানান।