১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেটালো আরেক শিক্ষার্থীর পিতা

###    রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক শিক্ষার্থীর পিতার বিরুদ্ধে। মারপিটে আহত শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন(১১) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন । সে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দেবত্তর বিনোদপুর গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও জোতনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পিতা বুধবার সকালে বাদি হয়ে অভিযুক্ত জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষার্থী শাহাদতের মা সাথি বেগম জানান, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার আমার ছেলেরা  বিদ্যালয়ে যায়। বিদ‍্যালয় চলাকালীন সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জোতনসী গ্রামের জয়নালের মেয়ে খাদিজা’র সঙ্গে একই ক্লাসের ছাত্র আমার ছোট ছেলে মোহাব্বতের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি খাদিজার পিতা জানতে পেয়ে বিদ‍্যালয়ের টিফিন চলাকালীন সময়ে  মোহাব্বতকে মারার জন‍্য বিদ‍্যালয়ে প্রবেশ করে। সে সময় মোহাব্বতকে না পেয়ে আমার আরেক বড় ছেলে শাহাদতকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি চড়থাপ্পড় দেয় এবং আছাড় মারে। এতে করে শাহাদত মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । এ সময়  বিদ‍্যালয়ে উপস্থিত অন‍্যান‍্য শিক্ষার্থীরাও ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে। বিদ‍্যালয় থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আমার ছেলেকে যে অন‍্যায়ভাবে মারধর করেছে তার বিচার চাই। প্রধান শিক্ষক মোসা. আকতার বানু বেলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্লাস শেষে টিফিনের বিরতি চলছিলো। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। এ সময়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই জয়নাল স্কুল মাঠে প্রবেশ করে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে।আমরা  শিক্ষার্থীকে রক্ষা করে পরিবারকে খবর দেই। তারা এসে ওকে নিয়ে যায়। পরে জেনেছি শাহাদত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা অফিসারসহ  ইউএনও স্যারকে অবগত করি। খবর পেয়ে শিক্ষা অফিসার বিদ‍্যালয়ে এসে বিষয়টি শুনেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামকে বিষয়টি সমাধানের জন‍্য দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জনিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মো. মামুনুর রহমানের ব‍্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে রিসিভ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাঘা থানার ডিউটি অফিসার এস.আই প্রজ্ঞাময় বলেন, শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি স‍্যারের নির্দেশনায় অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে এসআই আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়েছি। আমি দাপ্তরিক জরুরি কাজে মিটিংয়ে  থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনাই। তবে এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

আগামী জানুয়ারি থেকে মোংলা-যশোর রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেটালো আরেক শিক্ষার্থীর পিতা

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক শিক্ষার্থীর পিতার বিরুদ্ধে। মারপিটে আহত শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন(১১) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন । সে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দেবত্তর বিনোদপুর গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও জোতনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পিতা বুধবার সকালে বাদি হয়ে অভিযুক্ত জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শিক্ষার্থী শাহাদতের মা সাথি বেগম জানান, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার আমার ছেলেরা  বিদ্যালয়ে যায়। বিদ‍্যালয় চলাকালীন সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জোতনসী গ্রামের জয়নালের মেয়ে খাদিজা’র সঙ্গে একই ক্লাসের ছাত্র আমার ছোট ছেলে মোহাব্বতের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি খাদিজার পিতা জানতে পেয়ে বিদ‍্যালয়ের টিফিন চলাকালীন সময়ে  মোহাব্বতকে মারার জন‍্য বিদ‍্যালয়ে প্রবেশ করে। সে সময় মোহাব্বতকে না পেয়ে আমার আরেক বড় ছেলে শাহাদতকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি চড়থাপ্পড় দেয় এবং আছাড় মারে। এতে করে শাহাদত মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । এ সময়  বিদ‍্যালয়ে উপস্থিত অন‍্যান‍্য শিক্ষার্থীরাও ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে। বিদ‍্যালয় থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আমার ছেলেকে যে অন‍্যায়ভাবে মারধর করেছে তার বিচার চাই। প্রধান শিক্ষক মোসা. আকতার বানু বেলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্লাস শেষে টিফিনের বিরতি চলছিলো। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। এ সময়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই জয়নাল স্কুল মাঠে প্রবেশ করে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে।আমরা  শিক্ষার্থীকে রক্ষা করে পরিবারকে খবর দেই। তারা এসে ওকে নিয়ে যায়। পরে জেনেছি শাহাদত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা অফিসারসহ  ইউএনও স্যারকে অবগত করি। খবর পেয়ে শিক্ষা অফিসার বিদ‍্যালয়ে এসে বিষয়টি শুনেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামকে বিষয়টি সমাধানের জন‍্য দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জনিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মো. মামুনুর রহমানের ব‍্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে রিসিভ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাঘা থানার ডিউটি অফিসার এস.আই প্রজ্ঞাময় বলেন, শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি স‍্যারের নির্দেশনায় অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে এসআই আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়েছি। আমি দাপ্তরিক জরুরি কাজে মিটিংয়ে  থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনাই। তবে এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##