
### বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন, অহিংস যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপির চলমান পদযাত্রা আওয়ামী লীগের জন্য বিদায়ের অগ্রযাত্রা হবে। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ইউনিয়র পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হবেনা। বিএনপি শান্তিপুর্ণ কর্মনুচিতে বিশ্বাস করে। দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্র বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচি সফল করতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে লুটেরা সরকার মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ চরম দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দি রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দি রাখা। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সন্নিবেশিত করে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ দাবি জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। সরকার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সব বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. গাজী আব্দুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাবেক বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, এনামুল হক সজল প্রমূখ।##