০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০২:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • ৬৭ পড়েছেন

###    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সেটি আরও সংস্কার ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নও হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহযোগিতায় (বিডা) এফবিসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন¡ করছে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উদ্ভাবনী স্মার্ট দেশ হিসেবে বিনির্মাণের জন্য আমাদের অভিযাত্রায় যুক্ত হতে আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবার জন্য ৫ বছর প্রস্তৃতিমূলক সময় পার করছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ আমাদের দেশের জন্য একইসঙ্গে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করবে আবার অনেকগুলো চ্যলেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তিনি  আরও বলেন, ‘এখানে কোন হতাশার কথা শুনতে চাইনা। এখন থেকে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে, সেগুলো আমরা মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ।’উত্তরণ-পরবর্তী পরিবেশে চ্যালেঞ্জসমূহ মেকাবিলায় তাঁর সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলেও কথা দেন তিনি। সরকার প্রধান বলেন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। সমৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের বর্তমান প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে হবে যেখানে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের উদারতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,  বেসরকারি খাতের বিকাশে সরকার সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার আমি বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এটা তখনকার যুগে একটা সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। আমি মনে করি, বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনীতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহিত করণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই অর্থনৈতিক টেকসই ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, সকলের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। এক সময়কার বাংলাদেশ দারিদ্রপিড়ীত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ছিল জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে, তখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কোভিডের পূর্বে ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’ ‘কোভিড অতিমারি বা রাশিয়া যুদ্ধ ফলে যে অর্থনৈতিক মন্দা সেটা যদি না হতো তাহলে আমি আশা করি আমরা কিন্তু আরও অন্তত ২ থেকে ৩ ভাগ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হতাম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্মা দরজি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

বিনিয়োগে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০২:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

###    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সেটি আরও সংস্কার ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নও হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহযোগিতায় (বিডা) এফবিসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন¡ করছে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উদ্ভাবনী স্মার্ট দেশ হিসেবে বিনির্মাণের জন্য আমাদের অভিযাত্রায় যুক্ত হতে আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবার জন্য ৫ বছর প্রস্তৃতিমূলক সময় পার করছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ আমাদের দেশের জন্য একইসঙ্গে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করবে আবার অনেকগুলো চ্যলেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তিনি  আরও বলেন, ‘এখানে কোন হতাশার কথা শুনতে চাইনা। এখন থেকে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে, সেগুলো আমরা মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ।’উত্তরণ-পরবর্তী পরিবেশে চ্যালেঞ্জসমূহ মেকাবিলায় তাঁর সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলেও কথা দেন তিনি। সরকার প্রধান বলেন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। সমৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের বর্তমান প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে হবে যেখানে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের উদারতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,  বেসরকারি খাতের বিকাশে সরকার সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার আমি বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এটা তখনকার যুগে একটা সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। আমি মনে করি, বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনীতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহিত করণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই অর্থনৈতিক টেকসই ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, সকলের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। এক সময়কার বাংলাদেশ দারিদ্রপিড়ীত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ছিল জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে, তখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কোভিডের পূর্বে ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’ ‘কোভিড অতিমারি বা রাশিয়া যুদ্ধ ফলে যে অর্থনৈতিক মন্দা সেটা যদি না হতো তাহলে আমি আশা করি আমরা কিন্তু আরও অন্তত ২ থেকে ৩ ভাগ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হতাম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্মা দরজি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।##