### ভারতের প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুন্দরবনের নৌ-সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়বে। সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের নৌপথে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি টিম রয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিংহ বলেন, শুক্রবার এ প্রমোদতরী সুন্দরবনের আংটিহারায় প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়।বঙ্গ বিলাসে করে বিদেশি টুরিস্টরা সুন্দরবন ও বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখবেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। সেখানে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বিলাসবহুল পাঁচ তারকা জাহাজটি বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভিড়বে । স্বাগত জানাতে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সর্ম্পণ হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার ও মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গঙ্গা বিলাসে অধিকাংশই সুইজারল্যান্ডের নাগরিক রয়েছে। তারা মোংলা বন্দর থেকে সড়কপথে খানজাহান আলীর মাজারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন। পরে মোংলা জেটি থেকে আবার নৌপথে রওনা হবেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে গঙ্গা বিলাস খুলনা জেলার কয়রার আংটিহারা হয়ে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে প্রবেশ করে মোংলা বন্দর হয়ে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজার এলাকা ঘুরবেন বিদেশি পর্যটকরা। পরে নৌপথে বরিশাল হয়ে মেঘনা ঘাটে অবস্থান করে সোনারগাঁও ও ঢাকায় ভ্রমণ করবেন প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসের যাত্রীরা।টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও রংপুরের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করবেন পর্যটকরা। পরে চিলমারী থেকে ভারতে প্রবেশ করবে। গঙ্গা বিলাসের দেশের অভ্যন্তরে থাকাকালীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন প্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে।