০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত

###     ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে জনসভাস্থল জণসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।  আজ বিকাল ৩টায় জনসভা শুরু  হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা মিছিলসহকারে করে মাঠে প্রবেশ করেন। শনিবার (১১ মার্চ) সকাল থেকেই “জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগানে মুখরিত শহরজুড়ে  মানুষের ঢল নেমেছে। সড়কের একপাশ দিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে হাজার হাজার কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে আসছে সার্কিট হাউস মাঠের দিকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  চার বছর পর ময়মনসিংহে আসছেন । বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্র তীরে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে দলের বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

সকাল থেকেই ট্রেন, বাস, ট্রাকে করে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জনসভাস্থলে আসছেন আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকে আবার নেতাদের দেওয়া টিশার্ট কিংবা শাড়ি পরে এসেছেন মহাসমাবেশে। মিছিল করে আসা অনেকেই বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে এক নজর দেখতে এবং তার কাছ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আর উন্নয়নের বার্তা শুনতে এসেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে ঘিরে সাজসাজ রব বইছে নগরের প্রতিটি এলাকায়। ঝকঝকে-তকতকে করে সাজানো হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীকে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার হাজার ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গোটা নগর। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের মধ্যে। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা হবে। যা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় আসা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আ: সামাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অবকাঠামো, কৃষিসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে বিগত বছরগুলোয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করেছে। আমাদের তিন দশকের দাবি ছিল একটা বিভাগের। সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ এত উন্নত আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।  বঙ্গবন্ধু কন্যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এ জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন । এর আগে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

###     ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে জনসভাস্থল জণসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।  আজ বিকাল ৩টায় জনসভা শুরু  হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা মিছিলসহকারে করে মাঠে প্রবেশ করেন। শনিবার (১১ মার্চ) সকাল থেকেই “জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগানে মুখরিত শহরজুড়ে  মানুষের ঢল নেমেছে। সড়কের একপাশ দিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে হাজার হাজার কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে আসছে সার্কিট হাউস মাঠের দিকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  চার বছর পর ময়মনসিংহে আসছেন । বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্র তীরে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে দলের বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

সকাল থেকেই ট্রেন, বাস, ট্রাকে করে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জনসভাস্থলে আসছেন আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকে আবার নেতাদের দেওয়া টিশার্ট কিংবা শাড়ি পরে এসেছেন মহাসমাবেশে। মিছিল করে আসা অনেকেই বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে এক নজর দেখতে এবং তার কাছ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আর উন্নয়নের বার্তা শুনতে এসেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে ঘিরে সাজসাজ রব বইছে নগরের প্রতিটি এলাকায়। ঝকঝকে-তকতকে করে সাজানো হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীকে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার হাজার ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গোটা নগর। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের মধ্যে। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা হবে। যা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় আসা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আ: সামাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অবকাঠামো, কৃষিসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে বিগত বছরগুলোয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করেছে। আমাদের তিন দশকের দাবি ছিল একটা বিভাগের। সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ এত উন্নত আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।  বঙ্গবন্ধু কন্যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এ জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন । এর আগে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ##