০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে ফসলি জমির মাটি কাটায় জরিমানা ও কারাদণ্ড

###    মাদারীপুরের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন  উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামালসহ একদল পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

এসময়  জমির তিন মালিককে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও ৩ মাসের কারাদণ্ড, দুই ভেকু মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১ মাসের কারাদণ্ড এবং আরেক ট্রলি মালিককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটককৃতরা হলেন, দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় মৃত কানাই বালার ছেলে নিখিল বালা (৫৫), অখিল বালা (৫২), শংকর বালা (৪৮), আবেদ আলীর ছেলে সোহেল ফকির (৩৫), চাপাতলি এলাকাট করিম বেপারীর ছেলে জুয়েল বেপারী (২৭) এবং সুতারকান্দি এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে মুকুল সরদার (৩৬)। ছয়জনকে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ভেকুচালককে মাটি না কাটার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসআই মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রকাশ্যে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটছিল কয়েকজন লোক। এ সময় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাটিকাটা চক্রের সদস্যদের হাতেনাতে ধরা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পুলিশের সহযোগিতায় মাটিকাটা চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। উপজেলায় কিছু ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে উত্তোলন করে আসছেন, যার ফলে ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। তাই অভিযান চালিয়ে তিন জমির মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও দুই ভেকু মালিকদের ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ট্রলি মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি জমি রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

মাদারীপুরে ফসলি জমির মাটি কাটায় জরিমানা ও কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ০২:০৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

###    মাদারীপুরের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন  উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা কামালসহ একদল পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

এসময়  জমির তিন মালিককে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও ৩ মাসের কারাদণ্ড, দুই ভেকু মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১ মাসের কারাদণ্ড এবং আরেক ট্রলি মালিককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটককৃতরা হলেন, দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় মৃত কানাই বালার ছেলে নিখিল বালা (৫৫), অখিল বালা (৫২), শংকর বালা (৪৮), আবেদ আলীর ছেলে সোহেল ফকির (৩৫), চাপাতলি এলাকাট করিম বেপারীর ছেলে জুয়েল বেপারী (২৭) এবং সুতারকান্দি এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে মুকুল সরদার (৩৬)। ছয়জনকে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ভেকুচালককে মাটি না কাটার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসআই মো. মোস্তফা কামাল বলেন, প্রকাশ্যে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটছিল কয়েকজন লোক। এ সময় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাটিকাটা চক্রের সদস্যদের হাতেনাতে ধরা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পুলিশের সহযোগিতায় মাটিকাটা চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। উপজেলায় কিছু ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে উত্তোলন করে আসছেন, যার ফলে ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। তাই অভিযান চালিয়ে তিন জমির মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও দুই ভেকু মালিকদের ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ট্রলি মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি জমি রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।##