### খুলনা জিলার ১৪২ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য র্যালি, মেজবানী, স্মরণিকা প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়োজনে উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম মিরাজুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, কেডিএ’র সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) অধ্যাপক রুনু রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি হায়দার গাজী সালাউদ্দিন রুনু, সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম বাবর আলী, মকবুল হোসেন মিন্টু, বিএমএ’র খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, দৈনিক দেশ সংযোগের সম্পাদক মো: মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, উন্নয়ন কমিটির পরিবেশ সম্পাদক এস.এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ। পরে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিববাড়ি মোড়ে শেষ হয়। খুলনা দিবস উপলক্ষ্যে স্মরণিকা প্রকাশ ও খুলনার ঐতিহ্য মেজবান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্টানে সিটি মেয়র বলেন, খুলনার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এক সময়ের অবহেলিত ও বঞ্চিত খুলনা আজ উন্নয়নের ধারায় ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকার খুলনার উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারের আমলে খুলনা অঞ্চল অবহেলা- বৈষম্যের শিকার হয়। এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সরকারের আমলে খুলনা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী প্রকল্প গ্রহণ ও পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে এ অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বের তিনি আমা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিরা খুলনার চলমান ড্রেনেজ ও রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে খুলনাবাসীর ভোগান্তির লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে যশোর জেলার অর্ন্তগত ‘খুলনা মহাকুমা’ প্রতিষ্ঠিত হলে ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে খুলনার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। ১৮৮২ সালের ২৫এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মাত্র ৪০বছরের ব্যবধানে ৪’হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা এবং ৪৩হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসক ও খুলনার প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টমি ডাব্লিউ এম ক্লে’র দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে খুলনা জেলার কার্যক্রম শুরু হয়। ##