০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যানজটমুক্ত বরিশাল গড়তে ট্রাফিক বিভাগের নানা পরিকল্পনা

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪৫ পড়েছেন
বরিশাল প্রতিনিধি :::
বরিশাল নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে পুরোমাত্রায় বাস্তবায়নকল্পে ডিজিটালাইজেশন ও যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল মেট্টোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক দখল করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে । তাই শহরকে যানজট মুক্ত করা লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশ।
 এসময় বেশ কিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল কে মামলা করতে দেখা যায়।
সূত্রে জানা যায়,নগরীর কতিপয় জনবহুল স্পটের যানজট দূর করার জন্যও আমরা কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে হাতেম আলী চৌমাথা ও কাশিপুর সুরভি পাম্পের সামনে থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত আমরা ফোরলেনের অব্যবহৃত লেন চালু করেছি যাতে মেইন সড়কে থ্রিহুইলার চলাচল করতে না পারে। এর আগে ঢাকামুখী দূরপাল্লার গাড়িগুলোর সাথে থ্রিহুইলারে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো এবং প্রাণহানীও ঘটতো।
একইসাথে জিলা স্কুলের সামনে থেকে জেলখানার মোড় ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে যান চলাচল স্বাভাবিককরণসহ অন্যান্য স্পটগুলোতেও একমুখী চলাচলের জন্য বিকল্প লেন চালু করে দিয়েছি। যে কারণে নগরীতে এখন তেমন যানজট দেখা যায় না। আর যতটুকু দেখা যায় তাও থাকতো না যদি উচ্চতর ভবনগুলোর নিজ নিজ পার্কিং ব্যবস্থা থাকতো।
এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার জেলখানার মোড়, হাতেম আলী চৌমাথা, নথুল্লাবাদ, আমতলার মোড়, রূপাতলী, কাশিপুর, কাকলির মোড়সহ প্রায় স্পটে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
 বিভিন্ন ট্রাফিক স্পটে আমাদের জনবল ঠিকমতো ডিউটি করছে কিনা তা পুরোপুরি মনিটরিং করা যাচ্ছে। কারণ আমি আমার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেই শহরের বিভিন্ন স্পটের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার হালহকিকত দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যেকোন কাজের জবাবদিহিতার ব্যাপারটা স্পষ্ট থাকে। আর এতে শুধু আমাদের জনবলদের সর্তক কিংবা মনিটরিং করার পাশাপাশি জনসাধারণের ট্রাফিক আইন মানার হালচালও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে সরাসরি। সেক্ষেত্রে জনসাধারণ ও ট্রাফিক পুলিশ উভয়ের মধ্যেই একটি বাধ্যতামূলক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এসব বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মোঃ এসএম তানভীর আরাফাত জানান,
 মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি সড়ক যেন যানজটমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকে, ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্য সে লক্ষ্যে কাজ করছেন।##
Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

মোল্লাহাটে কম্বল বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

যানজটমুক্ত বরিশাল গড়তে ট্রাফিক বিভাগের নানা পরিকল্পনা

প্রকাশিত সময় : ০৮:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
বরিশাল প্রতিনিধি :::
বরিশাল নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে পুরোমাত্রায় বাস্তবায়নকল্পে ডিজিটালাইজেশন ও যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল মেট্টোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক দখল করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে । তাই শহরকে যানজট মুক্ত করা লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশ।
 এসময় বেশ কিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল কে মামলা করতে দেখা যায়।
সূত্রে জানা যায়,নগরীর কতিপয় জনবহুল স্পটের যানজট দূর করার জন্যও আমরা কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে হাতেম আলী চৌমাথা ও কাশিপুর সুরভি পাম্পের সামনে থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত আমরা ফোরলেনের অব্যবহৃত লেন চালু করেছি যাতে মেইন সড়কে থ্রিহুইলার চলাচল করতে না পারে। এর আগে ঢাকামুখী দূরপাল্লার গাড়িগুলোর সাথে থ্রিহুইলারে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো এবং প্রাণহানীও ঘটতো।
একইসাথে জিলা স্কুলের সামনে থেকে জেলখানার মোড় ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে যান চলাচল স্বাভাবিককরণসহ অন্যান্য স্পটগুলোতেও একমুখী চলাচলের জন্য বিকল্প লেন চালু করে দিয়েছি। যে কারণে নগরীতে এখন তেমন যানজট দেখা যায় না। আর যতটুকু দেখা যায় তাও থাকতো না যদি উচ্চতর ভবনগুলোর নিজ নিজ পার্কিং ব্যবস্থা থাকতো।
এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার জেলখানার মোড়, হাতেম আলী চৌমাথা, নথুল্লাবাদ, আমতলার মোড়, রূপাতলী, কাশিপুর, কাকলির মোড়সহ প্রায় স্পটে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
 বিভিন্ন ট্রাফিক স্পটে আমাদের জনবল ঠিকমতো ডিউটি করছে কিনা তা পুরোপুরি মনিটরিং করা যাচ্ছে। কারণ আমি আমার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেই শহরের বিভিন্ন স্পটের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার হালহকিকত দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যেকোন কাজের জবাবদিহিতার ব্যাপারটা স্পষ্ট থাকে। আর এতে শুধু আমাদের জনবলদের সর্তক কিংবা মনিটরিং করার পাশাপাশি জনসাধারণের ট্রাফিক আইন মানার হালচালও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে সরাসরি। সেক্ষেত্রে জনসাধারণ ও ট্রাফিক পুলিশ উভয়ের মধ্যেই একটি বাধ্যতামূলক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এসব বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মোঃ এসএম তানভীর আরাফাত জানান,
 মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি সড়ক যেন যানজটমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকে, ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্য সে লক্ষ্যে কাজ করছেন।##