০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে : এ্যাড. মনা

###    বিনাভোটের সরকার মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে; আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে যখন ক্ষমতায় ছিলো তারা এদেশে গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল বাতিল করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো, আওয়ামী লীগ রক্ষী বাহিনী দিয়ে ২০ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলো উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বর্তমান তাবেদার সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থাকার যে স্বপ্ন দেখছে তা এদেশের মানুষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না। দেশে জনগণ বিনাভোটের সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনরোষের মুখে সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। পুলিশের বাধার মুখে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। অজানা ভয়ে বিজয় দিবসের কর্মসুচিতেও তারা বাধা দিচ্ছে।
সরকার দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন লাঠি ও গুলিকেই আশ্রয়স্থল মনে করছে। আওয়ামী নাৎসীবাদ এখন চরম আকার ধারণ করে রক্তের ঘ্রাণ নিতেই তৎপরতা দেখাচ্ছে। গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসের চর্চা করছে। পুলিশকে বানিয়েছে সরকারী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মরণঘাতি হাতিয়ার। মানুষের সমাবেশ দেখলেই এরা মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। গণতন্ত্রে স্বীকৃত মিছিল-সমাবেশ দেখলেই এরা পুলিশকে লেলিয়ে দেয়। বিজয় দিবসের র‌্যালিতে খুলনা থানা পুলিশের বাধা প্রদান, খুলনা থানার ওসির অকথ্য ভাষায় গালিগালজের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সেদিন আর বেশি দুরে না- যেদিন প্রতিটি ঘটনার বিচার এদেশের মানুষ এদেশের মাটিতেই করবেন। বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিনাভোটের সরকারকে বিদায় করতে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার  আহবান জানিয়েছেন। মহান বিজয় দিবসের ৫১তম বর্ষ উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির পুর্বনির্ধারিত বিকাল ৩টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয় থেকে বর্নাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের করা চেষ্টা করলে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের বাধায় র‌্যালী বের করতে না পারলে তাৎক্ষনিক কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান  লফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, প্রমূখ। দিবসটি উপলক্ষ্যে সুর্য্যদেয়ের সাথে সাথে সকল দলীয় কার্যালয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে : এ্যাড. মনা

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

###    বিনাভোটের সরকার মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে; আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে যখন ক্ষমতায় ছিলো তারা এদেশে গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল বাতিল করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো, আওয়ামী লীগ রক্ষী বাহিনী দিয়ে ২০ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলো উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বর্তমান তাবেদার সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থাকার যে স্বপ্ন দেখছে তা এদেশের মানুষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না। দেশে জনগণ বিনাভোটের সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনরোষের মুখে সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। পুলিশের বাধার মুখে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। অজানা ভয়ে বিজয় দিবসের কর্মসুচিতেও তারা বাধা দিচ্ছে।
সরকার দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন লাঠি ও গুলিকেই আশ্রয়স্থল মনে করছে। আওয়ামী নাৎসীবাদ এখন চরম আকার ধারণ করে রক্তের ঘ্রাণ নিতেই তৎপরতা দেখাচ্ছে। গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসের চর্চা করছে। পুলিশকে বানিয়েছে সরকারী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মরণঘাতি হাতিয়ার। মানুষের সমাবেশ দেখলেই এরা মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। গণতন্ত্রে স্বীকৃত মিছিল-সমাবেশ দেখলেই এরা পুলিশকে লেলিয়ে দেয়। বিজয় দিবসের র‌্যালিতে খুলনা থানা পুলিশের বাধা প্রদান, খুলনা থানার ওসির অকথ্য ভাষায় গালিগালজের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সেদিন আর বেশি দুরে না- যেদিন প্রতিটি ঘটনার বিচার এদেশের মানুষ এদেশের মাটিতেই করবেন। বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিনাভোটের সরকারকে বিদায় করতে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার  আহবান জানিয়েছেন। মহান বিজয় দিবসের ৫১তম বর্ষ উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির পুর্বনির্ধারিত বিকাল ৩টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয় থেকে বর্নাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের করা চেষ্টা করলে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের বাধায় র‌্যালী বের করতে না পারলে তাৎক্ষনিক কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান  লফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, প্রমূখ। দিবসটি উপলক্ষ্যে সুর্য্যদেয়ের সাথে সাথে সকল দলীয় কার্যালয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। #