০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে দস্যুদের আস্তানা গড়তে দেওয়া হবে না

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৫৪ পড়েছেন

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে চলছে র‌্যাবের লং রেঞ্জ প্যাট্রল দলের বিশেষ অভিযান। অভিযানের দ্বিতীয় দিন রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব সদস্যরা ‘এলিট টাইগার্স’ ট্রলারযোগে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসসংলগ্ন এলাকায় এসে পৌঁছেন। আভিযানিক দলের সঙ্গে ছিলেন খুলনা র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ।

এ সময় র‌্যাব অধিনায়ক মোসতাক স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তিনি জেলেদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরার জন্য বনে যেতে বলেন এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। পরে শতাধিক জেলের মাঝে শীত নিবারণের কম্বল বিতরণ করেন র‌্যাবের সিও।
এর আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা থেকে র‌্যাবের লং রেঞ্জ প্যাট্রল দল, গোয়েন্দা শাখা এবং ছদ্মবেশী দলের ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দস্যু দমনে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। র‌্যাবের অভিযানে জেলে-মহাজনদের মাঝেও অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে সদ্য গঠিত বনদস্যু ‘নয়ন’ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মাসুম ফরাজী (৪৫) ওরফে আঙ্গুল কাটা মাসুমসহ দুই সদস্য দল ছেড়ে লোকালয়ে উঠে যান। তারা গোপনে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাতে পাথরঘাটা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন চরদুয়ানী এলাকায় আটক হয়েছেন বলে একাধিক জেলে ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা বলেন, আমরা দীর্ঘ চার বছর যাবৎ দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে নিশ্চিন্তে মাছ ধরেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আবার দস্যুদের তৎপরতায় জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। র‌্যাবের অভিযান শুরু হওয়ায় আমরা মাছ ধরার জন্য বনে যেতে সাহস পাচ্ছি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংকালে র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, সুন্দরবনে কোনোভাবেই দস্যুদের আস্তানা গাড়তে দেওয়া হবে না। আমাদের তিনটি দল বনের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। আশা করি দ্রুত আমরা নবগঠিত দস্যুদের আটকে সক্ষম হব।

জেলেরা যাতে নির্বিঘ্নে বনে মাছ শিকার করতে পারে, সে জন্য তাদের সঙ্গে র‍্যাব কাজ করছে। সার্বক্ষণিক জেলেদের পাশে আছে র‌্যাব।

র‌্যাবের অধিনায়ক আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে র‌্যাব তা কঠোর হস্তে দমন করেছে। সম্প্রতি নব্য দস্যুদলটি মাছ ধরা মৌসুমে দস্যুতা শুরু করলে তাদের নিচিহ্ন করতে র‌্যাবও দ্রুত কার্যক্রম শুরু করে। সুন্দরবন পুরোপুরি দস্যুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত র‌্যাবের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

সুন্দরবনে দস্যুদের আস্তানা গড়তে দেওয়া হবে না

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে চলছে র‌্যাবের লং রেঞ্জ প্যাট্রল দলের বিশেষ অভিযান। অভিযানের দ্বিতীয় দিন রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব সদস্যরা ‘এলিট টাইগার্স’ ট্রলারযোগে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসসংলগ্ন এলাকায় এসে পৌঁছেন। আভিযানিক দলের সঙ্গে ছিলেন খুলনা র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ।

এ সময় র‌্যাব অধিনায়ক মোসতাক স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তিনি জেলেদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরার জন্য বনে যেতে বলেন এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। পরে শতাধিক জেলের মাঝে শীত নিবারণের কম্বল বিতরণ করেন র‌্যাবের সিও।
এর আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা থেকে র‌্যাবের লং রেঞ্জ প্যাট্রল দল, গোয়েন্দা শাখা এবং ছদ্মবেশী দলের ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দস্যু দমনে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। র‌্যাবের অভিযানে জেলে-মহাজনদের মাঝেও অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে সদ্য গঠিত বনদস্যু ‘নয়ন’ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মাসুম ফরাজী (৪৫) ওরফে আঙ্গুল কাটা মাসুমসহ দুই সদস্য দল ছেড়ে লোকালয়ে উঠে যান। তারা গোপনে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাতে পাথরঘাটা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন চরদুয়ানী এলাকায় আটক হয়েছেন বলে একাধিক জেলে ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা বলেন, আমরা দীর্ঘ চার বছর যাবৎ দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে নিশ্চিন্তে মাছ ধরেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আবার দস্যুদের তৎপরতায় জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। র‌্যাবের অভিযান শুরু হওয়ায় আমরা মাছ ধরার জন্য বনে যেতে সাহস পাচ্ছি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংকালে র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, সুন্দরবনে কোনোভাবেই দস্যুদের আস্তানা গাড়তে দেওয়া হবে না। আমাদের তিনটি দল বনের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। আশা করি দ্রুত আমরা নবগঠিত দস্যুদের আটকে সক্ষম হব।

জেলেরা যাতে নির্বিঘ্নে বনে মাছ শিকার করতে পারে, সে জন্য তাদের সঙ্গে র‍্যাব কাজ করছে। সার্বক্ষণিক জেলেদের পাশে আছে র‌্যাব।

র‌্যাবের অধিনায়ক আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে র‌্যাব তা কঠোর হস্তে দমন করেছে। সম্প্রতি নব্য দস্যুদলটি মাছ ধরা মৌসুমে দস্যুতা শুরু করলে তাদের নিচিহ্ন করতে র‌্যাবও দ্রুত কার্যক্রম শুরু করে। সুন্দরবন পুরোপুরি দস্যুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত র‌্যাবের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।