০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় আটক ১৪

###    সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারির চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। বন বিভাগ সুত্রে জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। এদিকে, ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

মোল্লাহাটে কম্বল বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় আটক ১৪

প্রকাশিত সময় : ০২:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারির চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। বন বিভাগ সুত্রে জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। এদিকে, ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।##