০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস: অগ্নিঝরা মার্চের গৌরব দীপ্ত দিন

###    অগ্নিঝরা মার্চ ২৬তম দিন আজ। বাঙালীর ইতিহাস, বিষাদ ও বেদনার মাস এই মার্চ মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’র মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের এই মার্চেই রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, একাত্তরের মার্চ মাসের প্রতিটি দিন ছিল থমথমে, উৎকণ্ঠা, শঙ্কায় পরিপূর্ণ। চাপা উদ্বেগ, অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি। অবরুদ্ধ গণমানুষ ইতোমধ্যে প্রস্তুত চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। লক্ষ্য একটাই, নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ঐক্য সুদৃঢ় হচ্ছিল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের ‘স্বাধীনতা’র দুর্বার আকাঙ্খার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকা অসহোযোগ আন্দোলন ও মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল ফলানো, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালীর ইতিহাসের ৭১’র আজকের দিনের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায় হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গণহত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। ২৫ মার্চের মৃত্যুর বিভীষিকা থেকে এক হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল দেশের মানুষ। ওই দিন দিবাগত রাতেই (একাত্তরের ২৫ মার্চ) গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। তার আগেই বার্তা পাঠিয়ে দেন স্বাধীনতার ঘোষণার। এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজ থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এরপর গঠিত হয় প্রবাসী সরকার। তাদের নেতৃত্বে সংগঠিত রূপ নেয় মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতার নির্দেশে পরিচালিত নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুুদ্ধ অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। ২৫ মার্চের কালরাতের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস-স্বাধীনতার ইতিহাস। খুলনাসহ সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আজ সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন ও সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এছাড়াও মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ এদিন জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন 

২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস: অগ্নিঝরা মার্চের গৌরব দীপ্ত দিন

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

###    অগ্নিঝরা মার্চ ২৬তম দিন আজ। বাঙালীর ইতিহাস, বিষাদ ও বেদনার মাস এই মার্চ মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’র মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের এই মার্চেই রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, একাত্তরের মার্চ মাসের প্রতিটি দিন ছিল থমথমে, উৎকণ্ঠা, শঙ্কায় পরিপূর্ণ। চাপা উদ্বেগ, অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি। অবরুদ্ধ গণমানুষ ইতোমধ্যে প্রস্তুত চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। লক্ষ্য একটাই, নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ঐক্য সুদৃঢ় হচ্ছিল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের ‘স্বাধীনতা’র দুর্বার আকাঙ্খার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকা অসহোযোগ আন্দোলন ও মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল ফলানো, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালীর ইতিহাসের ৭১’র আজকের দিনের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায় হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গণহত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। ২৫ মার্চের মৃত্যুর বিভীষিকা থেকে এক হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল দেশের মানুষ। ওই দিন দিবাগত রাতেই (একাত্তরের ২৫ মার্চ) গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। তার আগেই বার্তা পাঠিয়ে দেন স্বাধীনতার ঘোষণার। এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজ থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এরপর গঠিত হয় প্রবাসী সরকার। তাদের নেতৃত্বে সংগঠিত রূপ নেয় মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতার নির্দেশে পরিচালিত নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুুদ্ধ অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। ২৫ মার্চের কালরাতের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস-স্বাধীনতার ইতিহাস। খুলনাসহ সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আজ সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন ও সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এছাড়াও মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ এদিন জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। ##