০৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দৈনিক মধুমতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ :

।। ফলোআপ।। খাদ্য পরিদর্শককে মারপিটে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর ওএমএস ডিলারশীপ বাতিল, কালো তালিকাভুক্ত করে জামানত জব্দ

####

খুলনায় খাদ্য পরিদর্শক ওএমএস তদারকি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসানকে সরকারী কাজে বাধাদান ও মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ আইয়ুব আলী মুন্সীর ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে আইয়ুব আলী মুন্সীসহ তার পরিবারকে খাদ্য বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত করে খাদ্য বিভাগে ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলীর জমাকৃত জামানত জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে এ কথা জানান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় দায়েরকৃত মামলাও চলমান রয়েছে। খুলনায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ওএমএস কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিতদের উপর ডিলারদের হামলার ঘটনায় প্রথমবারের মত ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এ সিদ্ধান্তে খাদ্য বিভাগের পরির্দশক ও তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এরআগে গত ১৫সেপ্টেম্বর দৈনিক মধুমতি পত্রিকায় খুলনায় ৩বছরে ওএমএস তদারকির কর্মকর্তাকে ডিলারদের মারপিট-হয়রানির বিচার হয়নি, ভয়ে তদারকি র্কাযক্রম বন্ধের উপক্রম র্শীষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়ে চড়ে বসে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।  বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: তাজুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল দুপুরের দিকে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় জেলা খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নগরীর বানরগাতী বাজার সংলগ্ন ডলফিন ভিডিও মোড়ে ওএমএস ডিলার ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী মুন্সির দোকান মেসার্স প্যারাডাইস এন্ড কোম্পানীর বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শনে যান। এ সময়ে তিনি বিক্রয় কেন্দ্রে ৩৩টি বস্তায় এক মেট্রিক টন চাল এবং ১০টি বস্তায় ৫০০ কেজি আটা দেখতে পান। বরাদ্ধ দেয়া অবশিষ্ট ১০ বস্তা বা ৫০০ কেজি আটা আনতে বলেন এবং অবশিষ্ট আটা বিক্রয় পয়েন্টে না আনা পর্যন্ত ওএমএস খাদ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিতে পারবেন না বলে জানান খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসান। পরে তিনি বিক্রয় কেন্দ্রের বিপরীত দিকের একটি গ্যাসের দোকানের সামনে অবস্থান করতে থাকেন। এ সময় তিনি ৫০০ কেজি আটা কম থাকার বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে মোবাইলে অবহিত করতে গেলে ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে গলা ধাক্কা দিয়ে গ্যাসের দোকানের ভিতরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সী। পরে খবর পেয়ে মহানগর খাদ্য পরিদর্শক লিটন কুমার বিশ্বাসসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এ হামলা ও মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে অভিযুক্ত ডিলারকে গ্রেফতার, কঠোর শাস্তি ও ডিলারশীপ বাতিলের দাবীতে খুলনা বিভাগীয় বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচী ও সমাবেশ করে দাবী জানায়। এছাড়া বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আশরাফুজ্জামান, উপখাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল করীম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদল কুমার বিশ্বাস, খাদ্য পরিদর্শক মো: রবিউল ইসলাম, মো: ইসমাইল আদম, রাশেদ আলী রিপনসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার খাদ্য পরির্দশকবৃন্দ তদারকি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দেয়। এতে ওএমএস খাদ্য বিক্রয় কার্যক্রমে হ-য-ব অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই ভিডিওসহ সকল প্রমান পাওয়ায় ডিলার মো. আইয়ুব আলী মুন্সির দোকান সিলগালাসহ সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ জঘন্য ঘটনার বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পরে বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সভাপতি খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হামলাকারী ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সির ডিলারশীপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বিভাগীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশনা দেয়ার পর অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর ডিলারশীপ বাতিল, তারপরিবারকে খাদ্য বিভাগে কালোতালিকাভুক্ত করা এবং তার জমাকৃত জামানত জব্দ করা হয়েছে। সেসহ তার পরিবারের কোন সদস্য ভবিষ্যতে খাদ্য বিভাগের কোথাও কোন ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত খুলনায় খাদ্য বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরাতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

খুলনা বিভাগীয় বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সহসভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের খাদ্য বান্ধন কর্মসূচীর অন্যতম ওএমএস কার্যক্রমের জন্য খাদ্য পরিদর্শকবৃন্দ খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। ওএমএস ডিলার, স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত সরকারী কাজে বাধা, হামলার শিকার হলেও খাদ্য পরিদর্শকরা কোন প্রতিকার ও সুষ্ঠ বিচার পায়নি। কিন্তু প্রথমবারের মত পরিদর্শক নাজমূলের উপর হামলার ঘটনায় খাদ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা খুশী। বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করায় খাদ্য বিভাগে কর্মরতরা নির্ভয়ে ও কোন ষংকোচ ছাড়াই তাদেও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে যেন আর কেউ সাহস না পায় সেজন্য মামলায় যেন হামলাকারী সাজা পায় সে বিষয়টিও দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ তিনি দাবী জানান। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

মোংলায় জোরপূর্বক ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ

দৈনিক মধুমতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ :

।। ফলোআপ।। খাদ্য পরিদর্শককে মারপিটে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর ওএমএস ডিলারশীপ বাতিল, কালো তালিকাভুক্ত করে জামানত জব্দ

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

খুলনায় খাদ্য পরিদর্শক ওএমএস তদারকি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসানকে সরকারী কাজে বাধাদান ও মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ আইয়ুব আলী মুন্সীর ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে আইয়ুব আলী মুন্সীসহ তার পরিবারকে খাদ্য বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত করে খাদ্য বিভাগে ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলীর জমাকৃত জামানত জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে এ কথা জানান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় দায়েরকৃত মামলাও চলমান রয়েছে। খুলনায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ওএমএস কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিতদের উপর ডিলারদের হামলার ঘটনায় প্রথমবারের মত ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এ সিদ্ধান্তে খাদ্য বিভাগের পরির্দশক ও তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এরআগে গত ১৫সেপ্টেম্বর দৈনিক মধুমতি পত্রিকায় খুলনায় ৩বছরে ওএমএস তদারকির কর্মকর্তাকে ডিলারদের মারপিট-হয়রানির বিচার হয়নি, ভয়ে তদারকি র্কাযক্রম বন্ধের উপক্রম র্শীষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়ে চড়ে বসে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।  বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: তাজুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল দুপুরের দিকে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় জেলা খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নগরীর বানরগাতী বাজার সংলগ্ন ডলফিন ভিডিও মোড়ে ওএমএস ডিলার ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী মুন্সির দোকান মেসার্স প্যারাডাইস এন্ড কোম্পানীর বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শনে যান। এ সময়ে তিনি বিক্রয় কেন্দ্রে ৩৩টি বস্তায় এক মেট্রিক টন চাল এবং ১০টি বস্তায় ৫০০ কেজি আটা দেখতে পান। বরাদ্ধ দেয়া অবশিষ্ট ১০ বস্তা বা ৫০০ কেজি আটা আনতে বলেন এবং অবশিষ্ট আটা বিক্রয় পয়েন্টে না আনা পর্যন্ত ওএমএস খাদ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিতে পারবেন না বলে জানান খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসান। পরে তিনি বিক্রয় কেন্দ্রের বিপরীত দিকের একটি গ্যাসের দোকানের সামনে অবস্থান করতে থাকেন। এ সময় তিনি ৫০০ কেজি আটা কম থাকার বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে মোবাইলে অবহিত করতে গেলে ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে গলা ধাক্কা দিয়ে গ্যাসের দোকানের ভিতরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সী। পরে খবর পেয়ে মহানগর খাদ্য পরিদর্শক লিটন কুমার বিশ্বাসসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এ হামলা ও মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে অভিযুক্ত ডিলারকে গ্রেফতার, কঠোর শাস্তি ও ডিলারশীপ বাতিলের দাবীতে খুলনা বিভাগীয় বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচী ও সমাবেশ করে দাবী জানায়। এছাড়া বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আশরাফুজ্জামান, উপখাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল করীম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদল কুমার বিশ্বাস, খাদ্য পরিদর্শক মো: রবিউল ইসলাম, মো: ইসমাইল আদম, রাশেদ আলী রিপনসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার খাদ্য পরির্দশকবৃন্দ তদারকি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দেয়। এতে ওএমএস খাদ্য বিক্রয় কার্যক্রমে হ-য-ব অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই ভিডিওসহ সকল প্রমান পাওয়ায় ডিলার মো. আইয়ুব আলী মুন্সির দোকান সিলগালাসহ সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ জঘন্য ঘটনার বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পরে বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সভাপতি খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হামলাকারী ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী মুন্সির ডিলারশীপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বিভাগীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশনা দেয়ার পর অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর ডিলারশীপ বাতিল, তারপরিবারকে খাদ্য বিভাগে কালোতালিকাভুক্ত করা এবং তার জমাকৃত জামানত জব্দ করা হয়েছে। সেসহ তার পরিবারের কোন সদস্য ভবিষ্যতে খাদ্য বিভাগের কোথাও কোন ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত খুলনায় খাদ্য বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরাতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

খুলনা বিভাগীয় বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সহসভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের খাদ্য বান্ধন কর্মসূচীর অন্যতম ওএমএস কার্যক্রমের জন্য খাদ্য পরিদর্শকবৃন্দ খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। ওএমএস ডিলার, স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত সরকারী কাজে বাধা, হামলার শিকার হলেও খাদ্য পরিদর্শকরা কোন প্রতিকার ও সুষ্ঠ বিচার পায়নি। কিন্তু প্রথমবারের মত পরিদর্শক নাজমূলের উপর হামলার ঘটনায় খাদ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা খুশী। বিভাগীয় খাদ্য কমিটির সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করায় খাদ্য বিভাগে কর্মরতরা নির্ভয়ে ও কোন ষংকোচ ছাড়াই তাদেও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে যেন আর কেউ সাহস না পায় সেজন্য মামলায় যেন হামলাকারী সাজা পায় সে বিষয়টিও দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ তিনি দাবী জানান। ##